|| কাউসার লাবীব ||
গত সপ্তাহ শুরা কমিটির বৈঠক ডেকেও স্থগিত করার পর থেকে বেড়েই চলছে দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া’র আভ্যন্তরিণ অস্থিরতা। দৃশ্যমান দু’পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করছে নানা বিষয়ে। উদ্ভুত এই পরিস্থিতে এবার ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সদরুল মুদররিসিন, নায়েবে মুহতামিম, সিনিয়র মুহাদ্দিসসহ ৫ জন সিনিয়র শিক্ষক।
আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জামিয়া পটিয়ার ৫ সিনিয়র শিক্ষক শায়খুল হাদিস ও সদরুল মুদাররেসিন আল্লামা হাফেজ মুফতি আহমাদুল্লাহ, নায়েবে মুহতামিম ও সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আবু তাহের নাদাভী, সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা একরাম হোসাইন, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল জলিল কাওকাব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দরস বর্জনের এই তথ্য জানানো হয়।
জামিয়া পটিয়ার নিজস্ব পেডে প্রচারিত চিঠিতে বলা হয়, ‘হামদ ও সালাতের পর জানানো যাচ্ছে যে, বিগত ২৮/৩/৪৫ হিজরী রোজ শনিবার বাদ জোহর জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া ও জামিয়ার বাইরের সম্মানিত ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত একটি যৌথ বৈঠকে অত্র জামেয়ার মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা সাহেব স্পষ্ট ভাষায় ওয়াদা করেন, যে আগামী এক সপ্তার মধ্যে তিনি একটি শুরা অধিবেশনের আহ্বান করে জামিয়ায় চলমান সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো তিনি এখনো প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ওয়াদাকৃত সময়ে শুরা অধিবেশন আহবানের বিষয়টি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন এবং বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে ফেতনা সৃষ্টি করছেন।
সুতরাং আমরা আগামী মজলিসে শুরার অধিবেশন না হওয়া পর্যন্ত জামিয়ার দাখেলী ও খারেজি (দাওরায়ে হাদীস) সব ধরনের ক্লাস বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ চিঠি প্রকাশের পাশাপাশি আজ বাদ জোহর পটিয়া মাদরাসার মসজিদে ক্লাস বর্জনের বিষয়ে আলোচনা করেন।
চলমান এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজার সঙ্গে আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, অচিরেই চলমান সমস্যার সমাধান হবে। আভ্যন্তরিণ কিছু মান-অভিমানের বিষয় রয়েছে এখানে। বিষয়গুলো আভ্যন্তরিণভাবেই আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। হয়তো দু’একদিন বা এর কম সময়ের মধ্যেই আপনারা ভালো কোনো সংবাদ পাবেন ইনশাআল্লাহ।
কেএল/