রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


শনিবার যথানিয়মে কাউন্সিল : প্রস্তুতি চূড়ান্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হুমায়ুন আইয়ুব

আগামীকাল শনিবার(৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের ১১তম জাতীয় কাউন্সিল। ইতিমধ্যে সারাদেশের মজলিসে উমুমির সাড়ে চার হাজার সদস্যকে ৩ মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জানা গেছে- সবার কাছে সরাসরি আমন্ত্রণপত্র, ভয়েস রেকর্ড ও  মোবাইল এসএমএস পাঠানো হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি  আল্লামা মাহমুদুল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাহফুজুল হকের বরাতে এই দাওয়াত করা হয়েছে। দায়িত্বশীলরা মনে করছেন-উৎসবমুখর পরিবেশে, মুরব্বিদের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি বজায় রেখেই জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এবারের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদরাসায়।

কাউন্সিলের প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চাইলে বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক আওয়ার ইসলামকে বলেন- আলহামদুলিল্লাহ আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি চূড়ান্ত। দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। দায়িত্বশীলরা সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছেন। বিশেষভাবে সাড়ে ৪ হাজার সম্মানিত সদস্যদের দাওয়াত চূড়ান্ত করা হয়েছে। সম্মানিত সদস্যদের ইস্তেকবাল, আরাম-রাত্রিযাপন, আপ্যায়নের পুরোপুরি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  এ ছাড়াও কার্ড ইস্যু করতে ১৪ টি কাউন্টারসহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুরো কাউন্সিলের ব্যবস্থপনার জন্য মনিটরিং সেল এবং সক্রিয় একটি সেচ্চাসেবক টিম গঠন করা হয়েছে।  

গতকাল একটি কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির একটি প্রতিনিধি সরাসরি হল ও কাউন্সিল এরিয়া পরিদর্শন করেছেন। আজ শুক্রবার বাদ মাগরিব আবারও বৈঠকে বসবে বেফাকের নেতৃবৃন্দ

মাওলানা মাহফুজুল হক আরও বলেন, মজলিসে উমুমির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতেই দায়িত্বশীল মনোনীত হবে।

নানা রকম জল্পনা-কল্পনা

এদিকে কাউন্সিল নিয়ে আলেম-উলামা, মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও ধর্মীয় অঙ্গনে উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা। তবে ব্যাপক আলোচনা ও নানা রকম জল্পনা-কল্পনা থাকলেও একাধিক সূত্র বলছে-বেফাকের মৌলিক পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। বর্তমান দায়িত্বশীলদের উপরই আস্থা রাখছেন বেফাকের প্রায় সাড়ে চার হাজার ডেলিগেট। সাধারণত মজলিসে উমুমির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে দায়িত্বশীল মনোনীত করা হয়ে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেফাকের একজন খাস কমিটির সদস্য বলেছেন, মজলিসে উমুমির সদস্যদের মতামতই চূড়ান্ত নেতৃত্ব ঠিক করবে। তবে বর্তমান দায়িত্বশীলদের প্রতি অনেকটাই আস্থা আছে সদস্যদের।

এদিকে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ. -এর ইন্তেকালের পর ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর শূন্যপদে বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন আল্লামা মাহমুদুল হাসান। একই দিন ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আব্দুল কুদ্দুসের পদত্যাগের পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব পদে মনোনীত হন মাওলানা মাহফজুল হক।

সূত্র বলছে, মজলিসে উমুমির অধিকাংশ সদস্যরাই চান বর্তমান সভাপতি ও মহাসচিব ভারমুক্ত হয়ে নতুন উদ্যমে কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করুক। এগিয়ে নিয়ে যাক বেফাককে।

হুআ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ