|| আদিয়াত হাসান ||
বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব হজ কোটা সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সৌদি আরব এবার ১২৭,০০০ এরও বেশি হজযাত্রীকে পবিত্র হজের অনুমতি দিয়েছে, যা গত বছরের দ্বিগুণেরও বেশি।
এদিকে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ আগামী ১৭ জুন ২০২৪ খ্রি. তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক বাংলাদেশকে ১,২৭,১৯৮ জন হজযাত্রীর কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাঃ আবু তাহির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের উক্ত বরাদ্দকৃত হজযাত্রীর কোটা নিম্নোক্তভাবে নির্দেশক্রমে বিভাজন করা হলো- সরকারি হজযাত্রী কোটা ৯,৯৬৮ জন, বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা ১,১৩,৪০০ জন, সরকারি গাইড কোটা ২৩০ জন, বেসরকারি গাইড ও মোনাজ্জেম কোটা ৩,৬০০ জন।
জানা যায়, বাংলাদেশ ২০২২ সালে ৬০,০০০ হজযাত্রীর কোটা পেয়েছিল। কেননা করোনভাইরাসের কারণে হজযাত্রা সীমিত করেছিল সৌদি আরব। মহামারীর আগে, বাংলাদেশকে প্রায় ১২০,০০০ হজযাত্রী পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
হজযাত্রীদের জন্য সুসংবাদ হল, এই বছর হজযাত্রীদের জন্য কোনও বয়সের সীমা থাকবে না। যার অর্থ ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কেউ হজ পালনের জন্য সৌদি আরব ভ্রমণের অনুমতি পাবে।
এর আগে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের হজ মৌসুমে একটি বয়স সীমা নির্ধারণ করেছিল, যাতে হজযাত্রীদের ৬৫ বছরের কম বয়সী হতে হবে এবং হজযাত্রা সম্পাদন করার জন্য তাদের সম্পূর্ণ কোভিড টিকা দিতে হবে।
পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কোসহ ‘বাংলাদেশ’ পাঁচটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মধ্যে ছিল - যেখানে সৌদি আরব গত বছর তার ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ পরিচালনা করেছিল। ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ এর মাধ্যমে ফ্লাইটের আগে ঢাকায় সমস্ত ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।
কেএল/