আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তার আস্থার অবস্থান অনেকাংশেই হারিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া জবাবে এসব মন্তব্য করে দলটি।
ইসলামী আন্দোলন বলছে, ‘আস্থার ঘাটতির কারণেই আমরা নির্বাচন কমিশনের সংলাপের আমন্ত্রণ বর্জন করেছিলাম। তবে আমরা আশাবাদী, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আসন্ন পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ভূমিকা গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে কথা বলার পরিবেশ করে দেবে।’
দলের মহাসচিব ইউনুস আহম্মেদ সেখ স্বাক্ষরিত জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে আরও বলা হয়, ‘আপনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার পর ইসির সংলাপের আমন্ত্রণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাড়া না দেওয়া আপনাদের সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত মান-অভিমানের বিষয় ছিল না, বরং তা ছিল—বিগত দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের ওপর রাজনৈতিক দলের আস্থাহীনতা।’
আরও বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশনের যথাযথ দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার ফলে যদি নির্বাচনে জনমতের যথার্থ প্রতিফলন না ঘটে এবং অযোগ্য ও অজনপ্রিয় ব্যক্তিরাই যদি জনপ্রতিনিধি হয়ে যায়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ ও জাতি। যদিও বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনের ব্যর্থতার দায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নয়, কিন্তু সেই একই ক্ষমতাসীনদের প্রভাব হতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন কতটুকু মুক্ত, তা প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ, আমরা এখনো পরিস্থিতির তেমন কোনো গুণগত পরিবর্তন দেখছি না।’
ইসলামী আন্দোলন মনে করে, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে অনেক শক্তিশালী ও কার্যকর। দেশে একটি গণমুখী দুর্নীতিমুক্ত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশনের শক্তিশালী আইনানুগ ভূমিকা নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সুতরাং, নির্বাচনকে কার্যকর করতে এবং নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দরকার নির্বাচন কমিশনের বলিষ্ঠ ও রেফারি সুলভ পদক্ষেপ।
-এটি