বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংষ্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: মুফতী ফয়জুল করীম আজারবাইজান থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পাসের ভর্তি কার্যক্রম শুরু ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করা বিস্ময় শিশু হাবিবুরকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা কাল বাংলাদেশে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, জেনে নিন সফরসূচি আলেমদের রাজনীতি আল্লাহর নবীদের রাষ্ট্রীয় উত্তরাধিকার: মাওলানা ফজলুর রহমান হেফাজতে ইসলাম পিরোজপুর জেলা শাখা কমিটি গঠিত বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত: ড. ইউনূস সাতকাছেমিয়া মাদরাসায় তিন দিনব্যাপী সম্মেলন আগামীকাল থেকে শুরু

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ইমাম শায়খ আবদুল্লাহ আহমদের ইন্তেকাল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ইমাম শায়খ আবদুল্লাহ আহমদ কামিল ইন্তেকাল করেছেন। সুরেলা কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য সবার কাছে সমাদৃত ছিলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই আলেম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর।

আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) ব্রুকলিনের মুসলিম কমিউনিটি সেন্টার (এমসিসি) তার মৃত্যুর খবর জানায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর জন্য গভীর শোক জানান বিশ্বের ইসলামী স্কলাররা।

শায়খ আবদুল্লাহ আহমদ কামিল ১৯৮৫ সালে মিসরের আল-ফাইউম প্রদেশের ইউসুফ সিদ্দিক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জন্মগতভাবেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছিলেন। ছোটবেলায় ব্রেইল পদ্ধতিতে পুরো কোরআন হিফজ করেন। ২০০৫ সালে আল-ফাইউম বিশ্ববিদ্যালয়ের দারুল উলুম কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০১৫ সালে তিনি আল-ফজর চ্যানেলে সম্প্রচারিত কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন।

শায়খ আবদুল্লাহ কুয়েত, সৌদি আরব, যক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ গত রমজানে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনের মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তা ছাড়া বিভিন্ন সেন্টার ও টিভি-চ্যানেলে তিনি নিয়মিত ইসলামী আলোচনা করতেন। মনমুগ্ধকর তিলাওয়াতের জন্য শায়খ আবদুল্লাহ অনলাইন ও অফলাইন সবখানে খুবই জনপ্রিয়। ইউটিউবের নিজস্ব চ্যানেলে তার তিলাওয়াতের অনেক ভিডিও রয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তার তিওলায়াত নিয়মিত সম্প্রচার হয়।

জীবনের শেষ মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে শায়খ আবদুল্লাহর সঙ্গী হিসেবে আবু ইউসুফ বলেন, আজ আমরা একসঙ্গে আমাদের মসজিদে ফজর নামাজ পড়েছি। এরপর আমরা একসঙ্গে দুপুরে জোহরের নামাজ পর্যন্ত একসঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে শুধু খাবার গ্রহণ ছাড়া আর উঠিনি। এ ধরনের আলোচনায় আগে কখনো হয়নি। আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে আমরা হেসেছি ও কেঁদেছি।

এসময় তিনি সুরা তাকবির ও ৪০ বছর বয়স নিয়ে কিছুক্ষণ চিন্তা করে অনেক কান্নাকাটি করেন। জোহর নামাজের সময় তিনি আমাকে নামাজ পড়াতে বলেন। আমি তাকে এগিয়ে দিই। তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ পড়ান। তখন আমরা কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে চাচ্ছিলাম। এরপর আমি ওঠে দাঁড়াই। কিন্তু তিনি আর দাঁড়াননি। তাকে জাগাতে গিয়ে দেখি, তিনি ইতিমধ্যে আমাদের ছেড়ে মহান রবের সান্নিধ্যে চলে গেছেন।’

তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদিস বিভাগের অধ্যাপক ও মিসরের কারিদের শায়খ ড. আহমদ ঈসা আল-মাসারাবি লিখেন, ‘মহান আল্লাহ শায়খ আবদুল্লাহ কামিলের ওপর রহম করুন। তার করবকে আলোকিত করুন এবং জান্নাতে তাকে উঁচু মর্যাদা দিন।’

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. মুহাম্মদ আল-সাগির লিখেন, ‘শায়খ আবদুল্লাহ কামিল যুক্তরাষ্ট্রে ইন্তেকাল করেছেন। সেখানেই তিনি রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়িয়েছেন। সুরলিত কণ্ঠে তাঁর তিলাওয়াত ও আবৃত্তি ছিল খুবই শ্রুতিমধুর। তাঁর স্বরচিত কবিতার আবৃত্তি রয়েছে।’

বিশ্বনন্দিত কারি শায়খ মাশারি রাশিদ আল-আফাসি লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি শায়খ আবদুল্লাহ কামিলকে ক্ষমা করুন। তাঁকে জান্নাতে উঁচু মর্যাদা দান করুন। ঠাণ্ডা পানি ও বরফ দিয়ে তাকে পবিত্র করুন এবং তার পরিবার ও স্বজনদের উত্তম বিনিময় দিন।’ সূত্র: আলজাজিরা

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ