মুফতি সাদেকুর রহমান।।
১.কাউকে পানিতে ডুবে যেতে দেখলে,যদি তাকে উদ্ধার করার মতো কেউ না থাকে। ২. কাউকে আগুনে পুড়ে যেতে দেখলে, যদি তাকে রক্ষা করার মত কেউ না থাকে। ৩.খলীফাতুল মুসলিমীন সকলকে জিহাদে যাওয়ার হুকুম করলে। ৪. জানাজা উপস্থিত হলে, যদি জানাজা পড়ানোর মতো কেউ না থাকে।
৫. আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া আবশ্যক হলে, যদি সাক্ষ্য না দেয় তাহলে হকদারের হক নষ্ট হয়ে যাবে। ৬. মসজিদ ভেঙে যেতে শুরু হলে, মসজিদ থেকে বের না হলে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ার আশঙ্কা আছে। ৭. নিজে বেশি অসুস্থ হয়ে গেলে,ডাক্তার না দেখালে প্রাণনাশের আশঙ্কা আছে। ৮. নিজ পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ,ডাক্তার দেখানোর মত কেউ যদি না থাকে।
৯. ঘরের মালামাল চুরি বা লুণ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা হলে,যদি এতেকাফকারী ঘরে উপস্থিত না হয়।
১০. সরকারি কর্মকর্তা এতেকাফকারী কে গ্রেফতার করতে উপস্থিত হলে। উক্ত সূরতগুলোতে এতেকাফ ভেঙে দিবে এবং পরবর্তীতে তা কাযা করে নেবে। ফাতাওয়া শামি-৩/৪৩৭-৪৩৯.ফাতাওয়া আলমগিরি-১/২১২।
যেসব সূরুতে এতেকাফ ভেঙে যাবে। তবে গুনাহ হবে না: ১.কেউ অন্যায় ভাবে মসজিদ থেকে এতেকাফকারিকে বের করে দিলে। তবে সাথে সাথে অন্য কোন মসজিদে ঢুকে গেলে এতেকাফ ভঙ্গ হবে না।
২.পেশাব-পায়খানার জন্য বের হওয়ার পর কোন পাওনাদার তাকে আটক করে রাখলে । এক্ষেত্রে এতেকাফকারী পাওনাদার সহ সাথে সাথে মসজিদে ঢুকে গেলে এতেকাফ ভঙ্গ হবে না।
৩.মসজিদে জামাত কায়েম করার মতো কোনো মুসল্লী না থাকায় এতেকাফকারি মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে। ফাতাওয়া শামি-৩/৪৩৮.ফাতাওয়া আলমগিরি-১/৩১২.
লেখক: মুফতি ও মুহাদ্দিস শেখ জনূরুদ্দীন রহ দারুল কুরআন মাদ্রাসা চৌধুরীপাড়া ঢাকা
-এটি