শাহিনুর মিয়া
‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনিভাবে ফরজ করা হয়েছিল পূর্ববর্তী উম্মতগণের উপর।
কেন ফরজ করা হয়েছে? যেন তোমাদের মাঝে ‘তাকওয়া’ সৃষ্টি হয়।’
অর্থাৎ- রোজা মূলত অন্তরের মাঝে তাকওয়া বা আল্লাহভীতির আলোকে প্রজ্বলিত করার লক্ষ্যে ফরজ করা হয়েছে। রোজার তাকওয়া সৃষ্টি হয় কীভাবে?
রোজ তাকওয়ার সিঁড়ি
কতক আলিম বলেন, রোজা দ্বারা ‘তাকওয়া’ এভাবে সৃষ্টি হয় যে, রোজার মাধ্যমে মানুষের জৈবিক শক্তি এবং পশুসুলভ দাপট ভেঙে চুরমার করে দেয়া হয়। মানুষ ক্ষুধার্ত থাকার ফলে পশুসুলভ আচরণ এবং জৈবিক চাহিদা একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে। যার কারণে গুনাহের দিকে অগ্রসর হওয়ার উপলক্ষ ও জযবা তার থেকে স্তিমিত হয়ে পড়ে।
আমাদের বুজুর্গ শাহ্ আশরাফ আলী থানভী রহ. বলেন রোজা দ্বারা যে শুধু পশুসুলভ চরিত্রের মৃত্যু ঘটবে এমন নয়, বরং বিশুদ্ধ রোজা মানেই তাকওয়ার উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সিঁড়ি। কারণ ‘তাকওয়া’ অর্থ হচ্ছে, মানুষের হৃদয়ে আল্লাহ তায়ালার মহত্ত্ব ও বড়ত্বকে উপস্থিত রাখে গোনাহ থেকে বেচেঁ থাকা। অর্থাৎ ‘আমি আল্লাহর গোলাম’ একথা ভেবে গুনাহ ছেড়ে দেয়া, সর্বদা আল্লাহ তা‘আলা আমাকে দেখতে পাচ্ছেন, তাঁর সামনে আমাকে উপস্থিত হতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে, এ ধরনের ভাবনা চিন্তা করে গোনাহ সমূহ থেকে নিজেকে বাঁচানোর নামই ‘তাকওয়া’ । যথা আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
অর্থাৎ- যে ব্যাক্তি এ কথা ভয় পায় যে, আমাকে আল্লাহ তা‘আলার দরবারে উপস্থিত হতে হবে, তাঁর দরবারে দাঁড়াতে হবে। আর এর ফলে সে প্রবৃত্তির চাহিদা ও গোলামি থেকে নিজেকে রক্ষা করে- তারই নাম ‘তাকওয়া’।
সূত্র: ইসলাহী খুতুবাত