কাউসার লাবীব: এবারের পবিত্র রমজানে চলমান ২৬তম দুবাই আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন দু’বারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম।
ঐতিত্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ১৪ বছর বয়সী তাকরীম। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী গতকাল ছিল তার কুরআন তিলাওয়াত। একাধারে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো ভুল হয়নি। উপহার দিয়েছেন তার স্বভাবধর্মী মুগ্ধকর তিলাওয়াত।
হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম উস্তাদ হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম বর্তমানে মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকার কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছে। মাদরাসার ব্যবস্থাপনায় সে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। তবে এখানে আসার পর তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শরীর নিয়েও ভালোই পড়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি জানান, তার ফলাফল বাংলাদেশ সময় ১২ রমজান আর মধ্যপ্রাচ্যের সময় হিসেবে ১৩রমজান ঘোষণা হবে। সর্বোচ্চ সফলতার দোয়া চাই।
এদিকে মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী-ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম তাকরীমের সফলতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তিনি বলেন, হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিমের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো একটি বিশ্বজয় নিয়ে আসুক সেই প্রত্যাশায় দেশবাসীর দোয়া কামনা করছি।
এর আগে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম।
এছাড়া গত মার্চে ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম প্রথম, মে মাসে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জন করেন। ২০২০ সালে পবিত্র রমজান মাসে বাংলাভিশন টেলিভিশন আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হোন তিনি।
তাকরীমের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আবদুর রহমান একটি মাদরাসার শিক্ষক। মা গৃহিণী।
কেএল/