বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইফতারের পূর্ব মূহুর্ত: অন্যরকম এক আনন্দ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গোলাম মোস্তফা: আল্লাহ তাআলার রহমত বরকত মাগফেরাত নাজাতসহ অনেক কল্যাণের মাস পবিত্র রমজানুল মোবারক শুরু হয়েছে। রমজানে মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকেন। সন্ধ্যায় মাগরিবের আজান শুনে রোজা ভাঙা হয়। রমজানের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে ইফতার।

রোজাদার ধনী-গরিব নির্বিশেষে তার পরিবারের ছোট-বড় সব সদস্যকে সাথে নিয়ে সাধ্যানুযায়ী রকমারি ইফতারি দ্রব্যসামগ্রী সামনে রেখে নির্দিষ্ট সময়ের সূর্যাস্তের অপেক্ষায় বসে থাকেন।

এই কঠিন প্রতীক্ষার মধ্যে প্রকৃত রোজাদারের খোদাভীতির পরম শান্তিময় নিদর্শন প্ৰকাশ পায়। আল্লাহ তার বান্দাদের ইফতার মুহূর্তে ফেরেশতাদের ডেকে বলেন, 'দেখো! আমার বান্দাকুলের ধর্মভীরুতার কী অপূর্ব দৃশ্য, এর ভেতরে রয়েছে আল্লাহভীতি, ন্যায়নিষ্ঠা এবং প্রবৃত্তি দমনের চরম নিদর্শন।

সূর্যাস্তের পর ইফতারের সময় রোজাদার নিজের সাথে পথিক, মুসাফির, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, ধনী-গরিব নির্বিশেষে অভুক্ত মানুষকে সর্বান্তঃকরণে ও সবিনয়ে ইফতারিতে শরিক হতে আহ্বান করে থাকেন। এতে মানবতার ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধে সবাই উদ্বুদ্ধ হোন এবং নিজেদের ইফতারি পরস্পর ভাগাভাগি করে খাওয়ার মধ্যে চরম তৃপ্তি, অশেষ পুণ্য ও কল্যাণ লাভ করেন।

ইফতারের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। রসুল সা. ইফতারের যেমন রোজাদেরদের জন্য আনন্দময় তেমনি সওয়াবে ভরপুর। একইভাবে ইফতারের জন্য অপেক্ষার সময়টুকুও রোজাদারের আমলনামায় অফুরন্ত সওয়াব লিখেন ফেরেশতারা। শুধু তাই নয় নবীজি সা. বলেছেন, ইফতারের সময় এতই মূল্যবান যে বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে তাই পাইবে।

বলাবাহুল্য, মানুষের প্রতিটি কষ্টই ক্ষণস্থায়ী। আর কষ্টের বিনিময়ে মানুষকে সর্বোত্তম বিনিময় দেওয়া হবে। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ প্রতিজ্ঞা করে বলেছেন। অথচ আল্লাহ তাায়ালা প্রতিজ্ঞা না করলেও কোনও অসুবিধা নেই।

শিক্ষার্থী, অর্নাস প্রথম বর্ষ, ঢাকা কলেজ।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ