শাহিনুর মিয়া বর্তমানে মুসলিম বিশ্বে একটি প্রথা ছড়িয়ে পড়েছে। যে প্রথাটির সর্বপ্রথম উদ্ভব হয়েছিল আরববিশ্ব বিশেষত মিসর এবং সিরিয়া থেকে। ধীরে ধীরে তা অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে।
আমাদের দেশেও তা এসে গেছে। প্রথমটি হচ্ছে, “স্বাগতম মাহে রমজান” নাম দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এটি সাধারনত রমজানের দু-তিন দিন আগে হয়ে থাকে।
সেখানে কোরআনখানি, ওয়াজ, আলোচনা ইত্যাদি করা হয়। উদ্যেশ্য, মানুষকে একথা জানানো যে, আমরা পবিত্র মাহে রামাযানকে স্বাগত জানাচ্ছি, তাকে ‘খোশ আমদেদ’ বলছি।
এ ধরনের জযবা তো খুবই ভালো। তবে এ ধরনের জযবাই এক সময় বিদ’আতের রূপ ধারণ করে। অনেক স্থানে আজ এ বিদ’আত আরম্ভ হয়েছে। তাই বলতে চাচ্ছি, রামজান শরিফকে স্বাগত জানানোর সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে, রামাযান শরিফ আগমনের পূর্বেই স্বীয় সময়ের রুটিন পরিবর্তন করে নতুন রুটিন তৈরি করে নেয়া; যাতে মুবারক মাসটির অধিকাংশ সময় আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে ব্যয়িত হয়। রামাযান আসার পূর্বে চিন্তা করুন যে, রামাযান আসছে। ফিকির করুন, কীভাবে আমার ব্যস্ততা কমানো যায়।
কেউ যদি মাসটিস জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ ঝামেলামুক্ত করে নেয়, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে দেখতে হবে- কোন কোন কাজ এ মাসে না করলেও চলবে সে কাজগুলো ছেড়ে দিন।
যে ধরনের ব্যয় কমানো সম্ভব, কমিয়ে দেখুন। যেসব কাজ রামাযানের পরে করলেও চলবে, সেগুলো পরে করুন। তবুও রামাযানের অধিক সময় ইবাদতের মাধ্যমে কাটানোর ফিকির করুন। রামাযানকে স্বাগত জানানোর সঠিক পদ্ধতি এটাকেই মনে করি। এভাবে করলে ইনশাহআল্লাহ এ মাসের সঠিক প্রাণ, তার নূর এবং তার বরকত অর্জিত হবে। অন্যথায় রামাযান আসবে আর যাবে ঠিক, তবে তার থেকে সঠিকভাবে উপকৃত হতে পারবো না। সূত্র: ইসলাহী খুতুবাত
-এটি