শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

রমজানে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র রমজান মহান আল্লাহর রহমত এবং তার সান্নিধ্য লাভের সুবর্ণ সুযোগসংবলিত একটি মাস। এবারও রমজান আসছে গরমের দিনে। এসময় প্রায় ১৫ ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হবে সবাইকে। তাই এসময় খাবারে একটু বাড়তি নজর দিতে হবে। বিশেষ করে ইফতারিতে এমন কিছু খাওয়া যাবে না যাতে, পেটে গ্যাস, বদহজম ও নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রোজায় সুস্থ থাকতে তাই বাকি ৯ ঘণ্টা পরিকল্পিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।

ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। দীর্ঘসময় অভুক্ত থেকে ইফতারিতে তেল ও মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ায় অনেকেই গ্যাস্ট্রিকে ভোগেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী নিয়ম মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকমুক্তভাবে রোজা পালন করা যাবে:

গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গ:

১. পেটের ওপরের অংশে ব্যথা হবে।

২. বুক জ্বালাপোড়া করবে।

৩. খাবারের আগে পরে পেট ব্যথা হতে পারে।

৪. খাবারের সময় বুকে বাঁধ পড়ার মতো অনুভব হবে।

৫. ঢেকুর আসবে।

৬. বমি বমি ভাব থাকবে এবং খাবারের চাহিদা কমে যাবে।

৭. অল্প খাবারেই পেট ভরে গেছে মনে হবে।

রোজায় গ্যাস্ট্রক নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী বর্জন করতে হবে:

১. অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।

২. ইফতারের শুরুতেই লেবু পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

৩. ইফতারের পর পরই চা, কফি কিংবা কোনো ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার একদমই খাবেন না।

৪. কেক, পেস্ট্রি, পাউরুটি পেটে গ্যাস তৈরি করে। তাই ইফতারির তালিকা থেকে এসব খাবার বাদ দিন বা পরিমাণে খুব কম রাখুন।

৫. একসঙ্গে অনেক পানি পান না করে কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি পান করুন।

৬. পায়খানা আটকে রাখবেন না।

গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে ইফতারিতে যা খেতে পারেন:

১. ইফতারের আয়োজনে তাজা ফল যেমন– বাঙ্গি, পেঁপে, আখ ইত্যাদির রস পান করা ভালো।

২. তাজা ফলের রসের বিকল্প হতে পারে ইসবগুলের ভুষি অথবা তোকমার দানা মিশ্রিত শরবত।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন যারা তাদের জন্য পাকা পেঁপে দারুণ উপকারি।

৪. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, তবে একটু একটু করে।

৫. হজমশক্তি ভালো রাখতে শসার সালাদ হতে পারে গ্যাস্ট্রিক রোগীর জন্য মহৌষধ।

৬. মাগরিবের আজানের পর দুই থেকে তিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করে নামাজ পড়ে নিতে পারেন। এতে খাবারে কিছুক্ষণ বিরতি পড়বে। নামাজের পর অন্যান্য খাবার গ্রহণ করলে পেট ফাঁপা কিংবা অস্থির লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৭. ইফতারির আয়োজনে একদিন নুডুলসের (কম তেলে রান্না) সঙ্গে সালাদ, কোনোদিন পায়েস (চিনি কম), কোনোদিন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ