শাহিনুর মিয়া হিযাবের ব্যাপারে অন্তত এতটুকু বলবো যে, হিযাবের ব্যাপারে সারকথা হচ্ছে, মাথা থেকে পা পর্যন্ত তথা একজন নারীর গোটা দেহ চাদর অথবা বোরকা কিংবা ঢিলে-ঢালা গাউন প্রভৃতি দ্বারা আবরিত রাখবে। মাথার চুলও ঢেকে রাখতে হবে। যে আয়াতটি আমি তিলাওয়াত করেছিলাম।
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রা. বলেন, রাসূল সা.-এর যুগের নারীরা চাদরাবৃত হয়ে চাদরের এক চিলতে চেহারার উপর ঝুলিয়ে রাখত। অবশিষ্ট মুখমণ্ডল চাদরের মাঝে লুকিয়ে রাখত।
এটাই হিযাবের মূল পদ্ধতি। তবে হ্যাঁ, কোনো সময় তীব্র প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে আল্লাহ তা‘আলা এতটুকু সুযোগ দিয়েছেন যে, তখন শুধু মুখমণ্ডল ও হাতের কব্জি পর্যন্ত খুলতে পারবে। এমনিতে তো মূল বিধান হচ্ছে মুখমণ্ডলসহ সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা। সুযোগের ব্যবহার করতে হবে তখন, যখন তা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না।
মোটকথা এটাই পর্দার বিধান। ব্যাপার হচ্ছে, একজন নারীর শালীন ও পবিত্র জীবনযাপনের জন্য ‘হিযাব’ এক গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক বিষয়। তাই পুরুষদের উচিত নারীদেরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করা। আর নারীদের উচিত পর্দার পাবন্দ করা। সবচে বেশি আপসোস তখন হয়, যখন সময়ে সময়ে নারীরা হিযাব বা পর্দা করতে চায় আর পুরুষরা সে পথে বাধার প্রাচীর হয়ে দাড়ায়। এজন্য মরহুম আকবর ইসলাহবাদী বড়ই সুন্দর পঙক্তি আবৃত করেছিলেন-
অর্থাৎ-গতকাল যখন কিছু স্ত্রীলোক পর্দাহীন হিসেবে দৃশ্যপটে এসেছে, আকবর তখন জাতির মর্যাদাবোধের কারণে জমিনের উপর স্থির হয়ে গিয়েছে।
যখন তাদের কে জিজ্ঞেস করা হলো, তোমাদের পর্দা কোথায় গেল? তারা তখন বলে উঠল আমাদের পর্দা তো পুরুষদের আকলে পড়ে গিয়েছে।
সত্যিই বর্তমান পুরুষদের জ্ঞান-বুদ্ধির উপরই পর্দা লেগে গিয়েছে। আজ তারা নারী জাতির পর্দার পথে অন্তরায়। আল্লাহ স্বীয় রহমতে বিকৃত চিন্তা-ভাবনা থেকে নাজাত দান করুক। আল্লাহ ও তার রাসুল সা.-এর হুকুম মোতাবেক জীবনযাপন করার তাওফীক দিন। আমীন!
সূত্র: ইসলাহী খুতুবাত
-এটি