মুফতি রফি উসমানি রহ.।।
আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন, আলেমদের আর্থিক সাধারণত তাদের চেয়ে দ্বিগুণ উপার্জনকারীর চেয়ে ভালো হয়ে থাকে। আল্লাহ তা’য়ালা এমন কিছু উপার্জনের খাত তৈরি করে দেন যাতে তাদের আর্থিক টানাপোড়েন থাকে না। এর কারণ হলো তদের উপার্জনে আল্লাহ এই পরিমাণ বরকত দান করেন যা কয়েক গুণ উপার্জনকারী মধ্যেও থাকে না। এছাড়া বিকল্প উপার্জনের খাতও অনেক সময় খুলে যায়। যেমন মসজিদ- মাদরাসায় চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা, হাদিয়া ইত্যাদি।
কোনো আলেম হয়ত মনে করতে পারেন, আমি সামান্য বেতনে চাকরি করছি। অথচ অনেক সময় বিনা পারিশ্রমিকে ব্যয় করছি। মনে রাখবেন, বিনিময় অব্যশ্যই পাবেন। তবে কোথায় থেকে পেয়েছেন এবং কোন কাজের জন্য পেয়েছেন সেটা হয়ত জানতে পারবেন না। এদিকে আপনির হয়ত একটি দীনি মাসআলা বলে দিলেন।
ওইদিকে আল্লাহ আপনার ব্যবসায় লাভ বাড়িয়ে দেবেন। আপনি মাসআলা বলার জন্য ফি নির্ধারণ করে দিয়ে আপনাকে পুষিয়ে দেবেন। অথবা এমন কোথাও থেকে উপহার চলে আসবে, যে ব্যাপারে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। মোটকথা, আল্লহ এসব কাজেরও বিনিময় দেবেন।
ফি ছাড়া সেবাদানকারী চিকিৎক
এমনিভাবে কোনো চিকিৎক বিনা পয়সায় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন, আল্লাহ তাকে অন্য দিক দিয়ে এর বিনিময় দিয়ে দেবেন। আমি এমন অনেক ডাক্তারকে দেখেছি অনেক ছোট দোকান, সেখানে ফার্নিচারও বেশি নেই। ধৈর্য সহকারে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। কোনো লোভ-লালসা নেই। অনেক দায়িত্বশীলতার সঙ্গে রোগীর সেবা দিচ্ছেন। নামমাত্র ফি নিচ্ছেন। বাড়তি কোনো উপার্জনের চেষ্টা-তদবিরও নেই। আল্লাহ তা‘আলা তাকে বিভিন্নভাবে এমন উপার্জন দিচ্ছেন যাতে তিনি ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন।
সূত্র: খুতুবাতে ফকিহুল ইসলাম
-এটি