বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংষ্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: মুফতী ফয়জুল করীম আজারবাইজান থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পাসের ভর্তি কার্যক্রম শুরু ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করা বিস্ময় শিশু হাবিবুরকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা কাল বাংলাদেশে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, জেনে নিন সফরসূচি আলেমদের রাজনীতি আল্লাহর নবীদের রাষ্ট্রীয় উত্তরাধিকার: মাওলানা ফজলুর রহমান হেফাজতে ইসলাম পিরোজপুর জেলা শাখা কমিটি গঠিত বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত: ড. ইউনূস সাতকাছেমিয়া মাদরাসায় তিন দিনব্যাপী সম্মেলন আগামীকাল থেকে শুরু

হজ শুধু ফরজ বিধান নয়, মুমিনের স্বপ্নও

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিশেষ প্রতিনিধি: কোভিডের পর সব কিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হজের খরচ। কোভিডের আগের চেয়ে খরচ বেড়েছে বেশ বড় আকারে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের স্বপ্ন থেকে হজ প্রায় মুছে যেতে বসেছে। হজ একটি ফরজ বিধান হওয়ার সাথে সাথে মুমিনের স্বপ্নও। তাই সারা জীবন কষ্ট করে টাকা জমিয়ে একবার মক্কা-মদিনায় যাওয়ার তামন্না থাকে প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ে।

৬০ এর ঘরে পৌঁছে গেছে জমশের আলীর বয়স। দীর্ঘদিন থেকে তিনি ঢাকাতে সিএনজি চালান। একজন মুমিনের যেমন স্বপ্ন থাকে আল্লাহর ঘর জিয়ারতের। তিনিও তেমনি একটি স্বপ্ন লালন করে আসছেন অনেক আগে থেকেই।

এবারের হজের প্যাকেজ ঘোষণা হওয়ার পর তিনি এক প্রকার হজে যাওয়ার স্বপ্ন মুছে ফেলেছেন। সিএনজি চালিয়ে দৈনিক অল্প কিছু টাকা তার আয় হয়। এ টাকা দিয়ে সংসারের খরচ সামলাতে হয়। এরপর অন্যান্য সব কিছু সামলানের পরই তিনি কিছু টাকা করে গুছাচ্ছিলেন। কিন্তু যেভাবে হজের খরচ বাড়ছে তার কি আর জীবনে হজে যাওয়া হবে?

শুধু তিনিই নন। তার মত এমন অনেকই আছেন। বাংলাদেশ থেকে যারা হজে যান তাদের মধ্যে কৃষকরাও আছেন। বিভিন্নভাবে টাকা জমিয়ে তারা হজে যান। চাকরিজীবি, ব্যবসায়ীদের চেয়ে কৃষকরা কম সংখক হজে যান না। সিরাজগঞ্জের রায়হান আলী সারাদিন কৃষি জমিতে কাজ করেন। কিন্তু তিনিও স্বপ্ন দেখেন একদিন হজে যাবেন। কিন্তু এবার যেভাবে হজের টাকা বেড়েছে তাতে তিনি মনে করছেন জীবনে আর হজে যাওয়া হবে না।

বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশ। এদেশের প্রতিটি মুমিনের হৃদয়েই আছে মক্কা-মদিনা যাওয়ার স্বপ্ন। ঢাকার কামরাঙ্গীচারের জামিয়া রশিদিয়ার শিক্ষক ইমরান বলেন, আমি অল্প কিছু টাকা মাসিক বেতন পাই। সেই টাকা দিয়ে পরিবারের খরচ চালানোই কষ্টকর। তবুও আমি নিয়মিত টাকা জমাই। আমি ও আমার স্ত্রী এক সাথে হজ করার নিয়ত করেছি। দিন দিন সব কিছুর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হজের খরচও। তবুও মুমিনের স্বপ্ন থেকে মক্কা-মদিনা মুছে যেতে পারে না।

বাংলাদেশের জন্ম নেওয়া প্রায় প্রতিটি শিশুর কানেই জন্মের পর আজান দেওয়া হয়। তাই তাদের ইসলামের বিধানের প্রতি থাকে আলাদা ভালোবাসা। তারা মক্কা-মদিনার স্বপ্ন যেমন স্বপ্নে লালন করেন ঠিক তেমনই আল্লাহর রাস্তায় জীবন উৎসর্গ করাও স্বপ্নে লালন করেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ