শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

পাকিস্তানে ৭ বছরে এইডস রোগী বেড়েছে ৭০ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানে গত সাত বছরে এইচআইভি আক্রান্ত রোগী বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জাতীয় এইচআইভি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রG

সরকারি তথ্যমতে, ২০১৬ সালের শুরুতে পাকিস্তানে এইডস রোগী ছিল প্রায় ১৭ হাজার। তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তা বেড়ে ৫৯ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তানের সম্প্রচার মাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, গত সাত বছরে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে পাঞ্জাবে। ২০১৬ সালে প্রদেশটিতে এইচআইভি পজিটিভ ছিলেন ৬ হাজার ৮৭৫ জন। ২০২২ সালে এসে তা ৮০ শতাংশ বেড়েছে। পৌঁছেছে ৩১ হাজারে।

এছাড়া বেলুচিস্তানে ২০১৬ সালে এইডস রোগী ছিল মাত্র ৩৪৫ জন। গত সাত বছরে সেই সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৭৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সিন্ধে এইডসের প্রকোপ বেড়েছে ৬৯ শতাংশ। ২০১৬ সালে সেখানে এইচআইভি পজিটিভ ছিলেন ৫ হাজার ১৮৩ জন, ২০২২ সালে তা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৬৫ জন।

একইভাবে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় এইডস রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩৮৪ জন থেকে বেড়ে পাঁচ হাজারে পৌঁছেছে। গত সাত বছরে অঞ্চলটিতে এইডস রোগী বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। অপরদিকে রাজধানী ইসলামাবাদে এইচআইভি পজিটিভ ২০১৬ সালে ছিল ২ হাজার ২২৭ জন। ২০২২ সালে তা ৩ হাজার ৭১১ জনে দাঁড়িয়েছে।

জাতীয় এইচআইভি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ২০১৬ সালের তথ্যমতে, পাকিস্তানে এইচআইভি পজিটিভ রোগী ছিলেন মোট ১৭ হাজার ১৮ জন। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার রোগী অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) নিয়েছেন।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এইচআইভি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২২ হাজার ৫১২ জন। ২০১৮ সালে শনাক্ত রোগী দাঁড়ায় প্রায় ২৯ হাজার, যার মধ্যে চিকিৎসা নিয়েছেন ২০ হাজার জন।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে এইডস রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪ হাজার ৫০৬ জন, যার মধ্যে চিকিৎসা নিতে যান ২৭ হাজার ১০৬ জন। এর এক বছর পরেই, অর্থাৎ ২০২০ সালে দেশটিতে এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজারে পৌঁছায়। এর মধ্যে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার রোগী।

আর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে এইডস রোগীর সংখ্যা পৌঁছায় ৫১ হাজার ৩৮০ জনে। এর মধ্যে ৪২ হাজারের মতো রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। একই বছরের ডিসেম্বরে দেশটিতে এইডস রোগীর সংখ্যা দেখাচ্ছে ৫৯ হাজার। অর্থাৎ এক বছরে দেশটিতে এইডস রোগী বেড়েছে প্রায় আট হাজার জন।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ