রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


শেষ মুহূর্তে যেভাবে নেবেন শরহে বেকায়া জামাতের পরীক্ষার প্রস্তুতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাসুম আবদুল্লাহ
ফাজেল দেওবন্দ 

বলা হয়ে থাকে—দরসিভাবে যোগ্যতার ভিত দৃঢ় ও সুসংহত করার সর্বশেষ জামাত শরহেবেকায়া। এ জামাতের পর দরসিভাবে যোগ্যতা গড়ার আর সুযোগ নেই। তাই প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে মৌলিক যোগ্যতা সৃষ্টি ও যোগ্যতার ঝালাই যে-কোনো মূল্যে এ জামাতে থাকতেই করা বাঞ্ছনীয়।

অতএব—অন্য জামাতের পড়া-লেখার তুলনায় এ জামাতের পড়াশোনা হতে হবে একটু বেশি শৃঙ্খলিত ও মার্জিত। স্বপ্ন ছোঁয়া ও স্বপ্ন জয়ের তাড়নায় অধিক তাড়িত। চেষ্টা-সাধনার সীমানা পেরিয়ে পরিণতি ও পরিণাম লাভের নেশায় আচ্ছাদিত। বরং উচ্ছ¡সিত ও উদ্বেলিত। শুধু পরীক্ষায় নয় বরং জীবন সাধনায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হতে প্রয়োজন নিয়মতান্ত্রিক হাড়ভাঙ্গা মেহনত ও অনুশীলন নির্ভর পড়া-লেখা। নিচে এ জামাতে ভালো ফলাফল ও সফলতা লাভের কিতাবভিক্তিক কিছু কৌশল ও করণীয় তুলে ধরা হল—

তরজমাতুল কুরআনিল কারিম
১. শব্দের তাহকিক-সহ সাবলীল অনুবাদ রপ্ত করবে। সাবলীল অনুবাদ শেখার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ সতর্কতা-সহ পড়া যেতে পারে।
২. আয়াত সংশ্লিষ্ট ঘটনা ও শানে নুযুল গুছিয়ে লিখে রপ্ত করবে। এ ক্ষেত্রে উস্তাদের আলোচনা মনে রাখার চেষ্টা করবে।
৩. আয়াতের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা বা আয়াত সংশ্লিষ্ট মাসয়ালা-মাসায়েল ও হুকুম-আহকাম বুঝে শুনে পড়বে ও লিখে মনে রাখার চেষ্টা করবে।
৪. আয়াতাংশ বা আয়াতে থাকা ছোট ছোট বাক্যের মহল্লে ই’রাব ও তরকিব রপ্ত করবে।
৫. আয়াত বা সুরার ফজিলত এবং তার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা-উপদেশ সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখবে ও রপ্ত করবে।
৬. দীর্ঘ নেসাব হলেও ভবিষ্যত জীবনের দিকে তাকিয়ে পঠিত পুরো অংশ রপ্ত করার চেষ্টা করবে। একদম অপারগ হলে—সে-সব জায়গা থেকে সাধারণত প্রশ্ন আসে কিংবা বেশি আসে—অতিরিক্ত যত্নসহ সেসব জায়গা আত্মস্থ করার প্রতি মনোযোগি হবে।
৭. বিগত বছরের প্রশ্ন সংগ্রহ করবে এবং প্রশ্নের ধরণ, প্রশ্নের ব্যপ্তি ও গভীরতা উপলব্ধি করে উত্তর লেখার অনুশীলন করবে।

মুখতাসারুল মায়ানি
১. পুরো কিতাবটি বুঝে বুঝে বার বার পড়বে। কিতাবের কঠিন জায়গাগুলো বিশেষ যত্নসহ আয়ত্ত করবে।
২. বালাগাতের বিভিন্ন পরিভাষার সংজ্ঞা, প্রকার ও তার উদাহরণ বুঝে শুনে আয়ত্ত করবে।
৩. পুরো কিতাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উদারণগুলোর বিশুদ্ধ হরকত, সঠিক অনুবাদ, কার উদাহরণ এবং কীভাবে—তাহকিক ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ খাতায় লিখে রপ্ত করবে।
৪. কিতাবে উল্লেখিত শে’রগুলোর সঠিক হরকতসহ সাবলীল অনুবাদ, পূর্ণ শে’র, শে’র-এর মর্ম-ব্যাখ্যা, কবির নাম, শে’রটি দিয়ে কবির উদ্দেশ্য, আলোচ্য অংশ, লেখকের উদ্দেশ্য এবং কীভাবে—বিস্তারিত সাজিয়ে-গুছিয়ে খাতায় লিখে অনুশীলন করবে।
৫. যে সব বিষয়গুলো মুখস্থ করার—তা বিশুদ্ধভাবে নির্ভুল ঠোঁটস্থ করে লেখার অনুশীলন করবে।
৬. কিতাবের মুকদ্দমা ও খুৎবা সংশ্লিষ্ট ইবারত বিশেষভাবে রপ্ত করবে। সেখানে থাকা ‘ইস্তেয়ারা’ ও ‘তাশবিহে’র আলোচনাগুলো বুঝে শুনে নোট করে উস্তাদকে দেখিয়ে আত্মস্থ করবে।
৭. প্রতিটি আলোচনা সারসংক্ষেপ বের করবে। এ ক্ষেত্রে দুরুসুল বালাগাত ও আল-বালাগাতুল ওয়াযেহার সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।
৮. ইমামদের সশ্রদ্ধ নাম, তাদের বিশুদ্ধ মতামতের বিবরণ ও দলিল বুঝে শুনে আয়ত্ত করবে। বিশেষভাবে মতোবিরোধপূর্ণ বিষয়ে ইমাম তাফতাযানি রহ.-এর মত এবং প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত, তার দলিল ও তার আঙ্গিক বুঝে শুনে মুখস্থ করবে।
৬. বিগত বছরের প্রশ্ন সংগ্রহ করে প্রশ্নের ধরন ও ব্যপ্তি উপব্ধি করে অনুশীলন করবে।

শরহে বেকায়া ১-২
১. প্রতিটি মাসায়ালা বুঝে পড়বে। প্রথমে মতন তারপর শরাহ আয়ত্ত করবে। মতন-শরাহ মিলেয়ে মাসয়ালা হল করবে। প্রয়োজনে কিতাবের হাশিয়া দেখবে। ‘সিয়ায়াহ’ও দেখতে পার। তবে আরবিতে পরীক্ষার উত্তর লিখলে আরবি কিতাব মুতায়ালা করবে। আর বাংলায় উত্তর লিখলে উত্তরের উপস্থাপনা শৈলি রপ্তের জন্য বাংলা দেখবে। তবে যে-কোনো লাইব্রেরির বাংলা দেখবে না। সচেতন উস্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ঠিক করে নেবে—কোন্ লাইব্রেরির বাংলা দেখবে।
২. তুলনামূলক কঠিন মাসয়ালাগুলো বিশেষ যতœসহ পড়বে। পরস্পরে মুজাকারা করবে। সাজিয়ে গুছিয়ে খাতায় লিখে অনুশীলন করবে।
৩. খুঁটি-নাটি ও ছোট-খাট মাসয়ালাসমূহ বিশেষ গুরুত্বসহ আত্মস্থ করবে।
৪. নিত্য প্রয়োজনীয় ও প্রচলিত মাসয়ালা-মাসায়েলের হুকুম বুঝে-শুনে ঠান্ডা মাথায় আয়ত্ত করবে।
৫. পুরো কিতাবের আরবি ইবারত সঠিক হরকত দিয়ে বার বার পড়বে—যাতে তা মুখস্থের মতো হয়ে যায়।
৬. বিভিন্ন প্রসঙ্গে উল্লেখিত দোয়া-কালাম অরবিসহ সঠিক হরকত দিয়ে মুখস্থ করবে। অর্থসহ লিখে অনুশীলন করবে।
৭. নানা পরিভাষার শাব্দিক ও পারিভাষিক সংজ্ঞা এবং তার প্রকারগুলো গুছিয়ে সুন্দর করে লিখে মুখস্থ করবে।
৮. যে সব মাসয়ালায় ইমামদের মতোবিরোধ রয়েছে—সেসব মাসয়ালা ইমামগণের মাযহাব, প্রত্যেকের দলীল এবং ভিন্ন মাযহাবের ইমামদের দলিলের জওয়াবসহ রপ্ত করবে। বিশেষ করে কিতাবের শুরুর দিকের মাসয়ালাগুলো।
৯. বিগত বছরের প্রশ্ন সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী অনুশীলন করবে।
১০. যে সব অধ্যায় থেকে বেশি প্রশ্ন আসে—সে সব প্রশ্নের উত্তর লিখে দক্ষ অভিজ্ঞ কোনো উস্তাদকে দেখাবে।

মাকামাতে হারিরি
১. শব্দার্থ মুখস্থ করবে। শব্দের একবচন ও বহুবচন আয়ত্ত করবে। বিপরীত শব্দ, প্রতি শব্দ, শব্দের বিস্তারিত তাহকিক ও প্রতিটি শব্দের সঠিক ব্যবহার—বুঝে বুঝে পড়বে।
২. আরবিতে অর্থসহ নির্ভুল বাক্যরচনা করার অনুশীলন করবে।
৩. পুরো কিাতব বিশুদ্ধ হরকত দিয়ে অর্থসহ বুঝে বুঝে পড়বে। বার বার পড়বে—যাতে কিতাবের বাক্যগুলো হুবহু মুখস্থের মতো হয়ে যায়।
৪. প্রতিটি মাকামার সারসংক্ষেপ আরবি ও বাংলাতে আত্মস্থ করবে এবং তার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা-উপদেশ গুছিয়ে আয়ত্ত করবে।
৫. আরবি বাক্যের বাংলা ও বাংলা বাক্যের আরবি করার নিয়ম-রীতি রপ্ত করে ব্যাপক অনুশীলন করবে।
৫. যে কোনো ঘটনা আরবি ও নিজ ভাষায় লেখার দক্ষতা অর্জন করবে।
৬. আরবি ছোট বাক্য বা বাক্যাংশের তারকিব করার নিয়ম-রীতি আয়ত্ত করে তারকিব করার অনুশীলন করবে।
৭. বিভিন্ন আরবি প্রশ্ন তৈরি করে আরবিতে তার উত্তর তৈরি করার অনুশীলন করবে।
৮. বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে পরীক্ষার জন্য হাতে-কলমে পূর্ণপ্রস্তুতি গ্রহণ করবে।

নুরুল আনওয়ার
১. কিতাবটি পড়ার পূর্বে ‘খুলাসাতুল আনওয়ার’ কিতাবটি সংগ্রহ করে পড়ে নেয়া যেতে পারে। এতে করে ‘নুুরুল আনওয়ার’ কিতাবের পরিভাষা ও তার পরিচয় সহজেই রপ্ত করা যাবে। খুলাসাতুল আনওয়ার সংগ্রহ না করা গেলে আল-মানারের শুধু মতনও পড়া যেতে পারে। বরং মুখস্থ করে নিলে ভালো হয়।
২. পুরো কিতাবটি সহি হরকত দিয়ে বুঝে-শুনে পড়া ও বিষয়বস্তু মুখস্থ করা। সাজিয়ে গুছিয়ে খাতায় লিখে মুখস্থ বেশি উপকারি বলে মনে হয়।
৩. প্রতিটি পরিভাষার সংজ্ঞা, হুকুম ও উদাহরণ মুখস্থ করা।
৪. মতোবিরোধপূর্ণ মাসয়ালায়—ইমামদের শুদ্ধ সঠিক নাম, তার মতামত, দলিল, দলিলের আঙ্গিক ও প্রতিপক্ষের দলিল ও তার দলিলের খণ্ডন বুঝে-শুনে খাতায় লিখে আয়ত্ত করতে হবে।
৫. উসুলের পরিচয় ও বিবরণ, তার থেকে বের হওয়া হুকুম-আহকাম ও মাসয়ালা-মাসায়েল আলাদা আলাদা যতœসহ রপ্ত করবে।
৬. কোনটি কিসের উদাহরণ, কিভাবে উদাহরণ এবং উদাহরণের যাবতীয় ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ অনুশীলন করবে।
৭. কিতাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন আয়াত, হাসি, আয়াত বা হাদিসের টুকরা, কবিতা, কবিতার পংক্তি ও চরণ এবং আরবি উদাহরণের সাথে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় আলোচনা ঠান্ডা মাথায় বুঝে শুনে রপ্ত করবে।
৮. পুরো কিতাবের একটি নকশা ও ছক এঁকে কিতাবের বিষয়বস্তু ও প্রতিটি আলোচনা সারসংক্ষেপ খাতায় লিখে মুখস্থ করবে ও পরস্পরে একে অপরকে শোনাবে।
৯. বিগত বছরের প্রশ্ন সংগ্রহ করে তার উত্তর লিখে কোনো দক্ষ অভিজ্ঞ আন্তরিক উস্তাদকে দেখাবে।

সিরাজি
১. আসহাবুল ফারায়েজ, আসাবাত, তাসহিহ, মাখারেজ ও রদ—বিষয়গুলোর পরিচয় ও বিবরণ ঠোঁটস্থ করে নেবে।
২. নিজে থেকে উদাহরণ বানিয়ে অনুশীলন করবে। দৈনিক দু’একটি করে ফারায়েজ করবে।
৩. তাসহিহ, রদ, ও আওল ইত্যাদির কিছু সহজ উদারণ বানিয়ে নিয়ে সে মোতাবেক অনুশীলন ও তামরিন করা যেতে পারে।
৪. ফারায়েজ সংক্রান্ত পরিভাষাগুলোর আভিধানিক ও পারিভাষিক সংজ্ঞা উদাহরণসহ লিখে মুখস্থ করবে। এ ক্ষেত্রে সিরাজির শরাহ ‘তিরাজি’ অথবা ইমাম জুরজানি রহ.-এর ‘কিতাবুত তারিফাত’-এর সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।
৫. যে-কৌশলে একজন অশিক্ষিত গ্রাম্য মোড়লও ফরায়েজ করতে পারে—ফরায়েজ করার সে কৌশল রপ্ত করবে।
৬. ইমামদের মতোবিরোধপূর্ণ মাসয়ালাগুলো—ইমামদের সশ্রদ্ধ নাম, মতামতের সঠিক বিবরণ ও দলিল বুঝে শুনে সর্তকতার সঙ্গে রপ্ত করবে।
৭. দৈনিক পুরো কিতাবে একবার নজর বুলাবে। সম্ভব না হলে একেক বিষয়ে একেক দিন নজর বুলাবে। এতে ভুলে যাবার অশঙ্কা কমবে—ইনাশাআল্লাহ।
৮. গণিতে কাঁচা হলে প্রথমে গণিতের মৌলিক ধারণা নেবে। পর্যাপ্ত অনুশীলন করবে। নিয়মান্ত্রিক অনুশীলনের মাধ্যমেই কেবল এ দূর্বলতা দূর করা সম্ভব।
৯. বিগত বছরের প্রশ্ন সংগ্রহ করে ভরপুর অনুশীলন করবে।

আত তরিক ইলাল ইনশা
১. কিতবের প্রথম ৬ পৃষ্ঠা হুবহু কন্ঠস্থ ও ঠোঁটস্থ করবে। পরীক্ষার উত্তর আরবিতে দিলে আরবিতে মুখস্থ করবে। আর বাংলাতে উত্তর দিলে বাংলাতে সাজিয়ে গুছিয়ে মুখস্থ করবে।
২. তাফসিল, তাযজিয়া, মাকালা ও তার অংশবিশেষসমূহের পরিচয় ও উদাহরণ মুঝে শুনে আত্মস্থ করবে।
৩. বছরের শুরু থেকে বাক্য রচনা ও বাক্য লম্বা করার কৌশল অনুশীলন করবে। প্রথমে মুযাফ-মুযাফ ইলাইহ। তারপর মওসুফ-সিফাত। তারপর ছোট-খাটো মুবতাদা-খবর, জুমলায়ে ইসমিয়া ও জুমলায়ে ফে’লিয়া অনুশীন করবে। অতপর জুমলার বিভিন্ন অংশের সাথে ইযাফত বা সিফাত বৃদ্ধি করবে। একাধিক খববর যুক্ত করবে। জুমলায়ে ফে’লিয়ায় নানা মাফউল ও মুতায়াল্লিক বাড়াতে থাকবে। এভাবে বাক্য লম্বা করার অনুশীলন করবে। অনুরূপভাবে মুবতাদা, খবর, ফায়েল ও মাফউল-মুতায়াল্লেক সম্পর্কে ছোট ছোট বাক্যে নানা তথ্য সংযোজন করার মাধ্যমেও তাফসিল, তাজযিয়া এবং সর্বশেষ মাকালার রূপ ধারণ করতে পারে।
৪. কিতাবে উল্লেখি মাকালাগুলো হুবহু মোটামুটি মুখস্থ করতে হতে। যাতে নাম-স্থান-কাল ভেদে কিতাবে দেয়া মাকালার আদলে মাকালা লেখা যায়। এভাবে যে-কোনো বিষয়ে মাকালা লেখা একদম সহজ হয়ে যাবে। কিতাবে দেয়া মাকালার তামরিনগুলো খাতায় লিখে উস্তাদকে দেখাবে এবং পূর্ণ যত্নসহ আত্মস্থ করবে।
৫. বিষয়বস্তুকে যে ধাপগুলোতে উপস্থাপন করতে প্রথমে বুঝে শুনে ভালোভাবে রপ্ত করবে এবং সে অনুযায়ী মাকালা লিখবে। মাকালা লেখার ক্ষেত্রে বিষযবস্তুর প্রতিটি অংশের পৃথক পৃথক শিরোনাম দিয়ে লিখবে। এতে করে মাকালা পূর্ণাঙ্গ হবে, তথ্যবহুল ও দীর্ঘও হবে। সর্বপরি সাজানো-গুছানো হবে। যা পরীক্ষকের মন জয় করে ভালো ফলাফল অর্জনের মানে উত্তীর্ণ হবে—ইনাশাআল্লাহ!
৬. আরবিতে দরখাস্ত ও চিঠি লেখার যোগ্যতা হাসিলের জন্য কিতাবের দু’চারটি দরখাস্ত ও চিঠি কিতাবের মতো হুবহু মুখস্থ করে নেবে। দরখাস্ত ও চিঠির নানা ধাপ, উপস্থনা রীতি ও তার জন্য ব্যবহৃত সুনির্দিষ্ট বাক্যাবলি বুঝে শুনে মুখস্থ করে নেবে। তাহলে যে-কোনো বিষয়ে বিষয় ও নামের পরিবর্তনসহ দরখাস্ত ও চিঠি লেখার যোগ্যতা তৈরি হবে বলে বিশ্বাস করা যায়।
৭. বাংলা থেকে আরবি করা, অনুরূপ আরবি থেকে বাংলা করার সাধারণ কিছু কৌশল আছে—উস্তাদ থেকে বা এ বিষয়ের বই-কিতাব পড়ে তা হাতে-কলমে রপ্ত করে নেবে। এক্ষেত্রে আত তরিক ইলাল ইনশা ২য় খণ্ডের উর্দুগুলো বাংলা তার আরবি করার অনুশীল করা যেতে পারে। বাংলা থেকে আরবি রূপান্তর বা আরবির অনুবাদের ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তাই কোনো উস্তাদের শরণাপন্ন হয়ে হাতে-কলমে বিষয়টি আয়ত্ত করবে।
৮. ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে ভুল শব্দটি লিখে ভুলের কারণ লিখবে। অতপর বিশুদ্ধ কি হবে তা পৃথকভাবে লিখবে। সর্বশেষ স্বতন্ত্রভাবে বিশুদ্ধ নসটি লিখে দেখাবে।
৯. মুফাখারা বা হিওয়ার লেখার ক্ষেত্রে পৃষ্ঠার মাঝ বরাবর দাগ টেনে দুপক্ষের কথা দু’পাশে লিখলে ভালো হয়। বাহ্যিক সৌন্দর্যও ভালো ফলালের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় অনেকাংশে।
১০. বিগত বছরের প্রশ্নের উত্তর লিখে দক্ষ-অভিজ্ঞ ও দরদি কোনো উস্তাদকে দেখাবে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ