আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বগুড়ার জামেয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম জামিল মাদরাসায় খতমে বোখারি আগামীকাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জানা যায়, আগামীকাল (১৭ ফেব্রুয়ারি) আসরের নামাযের পর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হবে অনুষ্ঠান। খতমে বোখারির আলোচনা ও দোয়া পরিচালনা করবেন তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়ার চেয়াম্যান, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক, বগুড়া জামিল মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আরশাদ রাহমানী।
প্রসঙ্গত, দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা বগুড়া সদরে অবস্থিত ‘আল-জামিআতুল ইসলামিয়া কাসিমুল উলুম’ বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে প্রতিষ্ঠিত একটি ঐতিহ্যবাহী ইসলামী বিদ্যাপীঠ এবং গোটা উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম ইসলামী জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র। বগুড়ার পুলিশ লাইনস সংলগ্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উত্তর-পশ্চিম পাশে প্রায় ৪০ বিঘা জমির ওপর ১৯৬০ সালে পটিয়া মাদরাসার তৎকালীন মুহতামিম মুফতি আজিজুল হক (রহ.)-এর পরামর্শে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন জেলার বিত্তশালী আলেম মাওলানা সুহাইল উদ্দিন কাসেমী। তিনি ছিলেন বগুড়ার সে সময়ের স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান জামিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী আবদুল গফুরের বড় ছেলে। মূলত বাবার নির্দেশেই তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। জামিল গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা থেকেই প্রতিষ্ঠানটি সারা দেশে ‘জামিল মাদরাসা’ নামে পরিচিত।
প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি খুব অল্পদিনেই পড়াশোনা ও পারিপার্শ্বিক বিষয়ে অবদান রেখে গোটা উত্তরবঙ্গে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং মাত্র ছয় বছরের মাথায় ১৯৬৭ সালে এখানে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ শ্রেণি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান) খোলা হয়। বর্তমানে এখানে তাফসির, আরবি সাহিত্য, তাজবিদ ও ইফতা (ইসলামী আইন গবেষণা) বিভাগ রয়েছে।
তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কার্যালয় এ মাদরাসাতেই অবস্থিত। বোর্ডটি প্রতিষ্ঠা করেন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পে অবস্থিত ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও আল-জামিআতুল ইসলামিয়া কাসিমুল উলুমের সাবেক অধ্যক্ষ ফকীহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহ.। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারা দেশে প্রায় তিন হাজার মাদরাসা রয়েছে।
কেএল/