শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


বিগত ১০০ বছরে এত বড় বিপর্যয় দেখেনি তুরস্ক: এরদোগান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ৪১ হাজার মানুষের মৃত্যু, কয়েক হাজার স্থাপনা মিশে গেছে মাটির সাথে। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন তাদেরও ভবিষ্যৎ অন্ধকার। উদ্ধারকর্মীরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, তবুও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তুরস্কে উদ্ধার অভিযানের গতি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ভূমিকম্পের ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা বলতে গেলে ছেড়েই দিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।

এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেন, এত বিশাল বিপর্যয় গত ১০০ বছরেও দেখেনি তুরস্ক। তবে এ বিপর্যয়ের তাৎক্ষণিক ধাক্কা আপাতত সামলানো গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর সংবাদ সংস্থা এপির।

ভূমিকম্পের পরই ঘনঘন ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করছেন এরদোগান। টেলিভিশনে এসে বিবৃতি দিচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এরদোগান বলেন, গত ১০০ বছরে তুরস্ক এমন ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়নি। শুধু তুরস্ক-সিরিয়া নয়, এটি গোটা মানবজাতির ইতিহাসে অন্যতম বড় বিপর্যয়।

মঙ্গলবার দুর্যোগ সংস্থার (এএফএডি) প্রধান কার্যালয়ে ৫ ঘণ্টা ক্যাবিনেট বৈঠক করেন এরদোগান। বৈঠক শেষে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট বলেন, ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে ১ লাখ ৫ হাজার ৫০৫ জন আহত হয়েছেন। ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশের ৪৭ হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে। এসব ভবনে ২ লাখ ১১ হাজার মানুষ বসবাস করে আসছিলেন। আজ তারা সবাই গৃহহীন।

ঘর হারা এত সংখ্যক মানুষের পুনর্বাসন বড় চ্যালেঞ্জ, তা মানছেন এরদোগান। তবে আপাতত উদ্ধার অভিযানে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। এরদোগান বলেন, প্রতিটি মানুষকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের না করা পর্যন্ত আমরা কাজ চালিয়ে যাবো।

১৯৩৯ সালে একবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক। এর ফলে ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। তবে এবার মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ছাড়িয়েছে ৪১ হাজার। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও বহু সংখ্যক মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ