শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

কোরআন পাঠের ১০ টি ফজিলত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাফেজ মাওলানা আব্দুল মাজীদ মামুন রাহমানী ।।।

মহাগ্ৰন্থ আল কোরআন এক মহান পরশপাথর। যার সংস্পর্শ জিরোকে হিরোতে পরিণত করে। সবার নিকট করে তোলে সমাদৃত ও সম্মানের পাত্র । কোরআনের সাথে সম্পর্ক রাখার অনেক ফজিলত কোরআন -হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে ১০টি উল্লেখ করা হলো।

১. কোরআন যারা পড়বে আল্লাহ তা'আলা তাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দিবেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্ৰহ বৃদ্ধি করতেই থাকবেন। মহান আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেন
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَتۡلُوۡنَ کِتٰبَ اللّٰہِ وَاَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَاَنۡفَقُوۡا مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ سِرًّا وَّعَلَانِیَۃً یَّرۡجُوۡنَ تِجَارَۃً لَّنۡ تَبُوۡرَ ۙ لِیُوَفِّیَہُمۡ اُجُوۡرَہُمۡ وَیَزِیۡدَہُمۡ مِّنۡ فَضۡلِہٖ ؕ اِنَّہٗ غَفُوۡرٌ شَکُوۡرٌ অর্থ: যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে, তাঁরা এমন ব্যবসায়ের আশাবাদী, যাতে কখনও লোকসান হয় না। যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী।
সূরা ফাত্বির, আয়াত: ২৯ - ৩০

২. যারা কোরআন পড়ে আল্লাহ তাঁদের মর্যাদা বহুগুনে বৃদ্ধি করে দিবেন। হাদিস শরিফে এরশাদ হচ্ছে
عَنْ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ أَبِي الطُّفَيْلِ، أَنَّ نَافِعَ بْنَ عَبْدِ الْحَارِثِ، لَقِيَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بِعُسْفَانَ - وَكَانَ عُمَرُ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى مَكَّةَ - فَقَالَ عُمَرُ مَنِ اسْتَخْلَفْتَ عَلَى أَهْلِ الْوَادِي قَالَ اسْتَخْلَفْتُ عَلَيْهِمُ ابْنَ أَبْزَى ‏.‏ قَالَ وَمَنِ ابْنُ أَبْزَى قَالَ رَجُلٌ مِنْ مَوَالِينَا ‏.‏ قَالَ عُمَرُ فَاسْتَخْلَفْتَ عَلَيْهِمْ مَوْلًى قَالَ إِنَّهُ قَارِئٌ لِكِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى عَالِمٌ بِالْفَرَائِضِ قَاضٍ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ أَمَا إِنَّ نَبِيَّكُمْ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ يَرْفَعُ بِهَذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِهِ آخَرِينَ ‏"‏ ‏.‏ অর্থ: ‘আমির ইবনে ওয়াসিলা আবূ তুফায়েল রা. থেকে বর্ণিত যে, নাফে' ইবন 'আবদুল হারিস রা. "উসফান" নামক স্থানে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. এর সাথে মিলিত হন। ওমর রা. তাঁকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন। তখন ওমর রা. বললেন, গ্রামবাসী বেদুঈনদের জন্য তুমি কাকে স্থলাভিষিক্ত (খলিফা বানিয়েছ) করেছ? তিনি বলেন, আমি তাদের উপর ইবনে আবযা রা. কে খলিফা বানিয়েছি। ওমর রা. বললেন ইবন আবযা কে?

তিনি বললেন, সে আমাদের একজন আযাদকৃত গোলাম। ওমর রা. বললেন, তুমি লোকদের উপর গোলামকে খলিফা বানিয়েছ? তিনি বললেন সে তো মহান আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াতকারী, ইলমে ফারায়েয সম্পর্কে অভিজ্ঞ 'আলিম এবং কাযী। ওমর রা. বললেন তুমি কি জান না যে, তোমাদের নবী সা. বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কিতাবের মাধ্যমে কতক গোত্রকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন আর কতককে এরদ্বারা অবনমিত করবেন? ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৮। হাদিসের মান: সহিহ ৩.

সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তাঁরা যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ অর্থ: আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত , রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯ হাদিসের মান: সহিহ

৪. প্রতি হরফে ১০ নেকি লাভ। হাদিসে পাকে এরশাদ হচ্ছে
عَنْ عَبْد اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، قال قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لاَ أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ
অর্থ: আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে। আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ। তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০ হাদিসের মান: সহিহ

৫. কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মত। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে
عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "مَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الأُتْرُجَّةِ، رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا طَيِّبٌ، وَمَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ التَّمْرَةِ لاَ رِيحَ لَهَا وَطَعْمُهَا حُلْوٌ، وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ مَثَلُ الرَّيْحَانَةِ، رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ، وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الْحَنْظَلَةِ، لَيْسَ لَهَا رِيحٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ অর্থ: আবু মূসা আশআরি রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত (মিষ্টি) কমলার ন্যায়, যার ঘ্রাণও উত্তম স্বাদও উত্তম। যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের ন্যায়, যার কোন ঘ্রাণ নেই তবে এর স্বাদ আছে। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃটান্ত রায়হানা (ফুলের) ন্যায় যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানযালা(মাকাল) ফলের ন্যায়, যার সুঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত। বুখারি, হাদিস: ৫৪২৭ হাদিসের মান: সহিহ

৬. মৃত্যুর পরও কোরআন তেলাওয়াত কারীর লাশের মর্যাদা বহুগুন বেশি। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَجْمَعُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ مِنْ قَتْلَى أُحُدٍ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ ثُمَّ يَقُولُ " أَيُّهُمْ أَكْثَرُ أَخْذًا لِلْقُرْآنِ ". فَإِذَا أُشِيرَ لَهُ إِلَى أَحَدِهِمَا قَدَّمَهُ فِي اللَّحْدِ وَقَالَ " أَنَا شَهِيدٌ عَلَى هَؤُلاَءِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ". وَأَمَرَ بِدَفْنِهِمْ فِي دِمَائِهِمْ، وَلَمْ يُغَسَّلُوا وَلَمْ يُصَلَّ عَلَيْهِمْ. অর্থ: জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ‌ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সা. উহুদের শহীদগণের দুই’দুই’ জনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাঁদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানত? দু’ জনের মধ্যে এক জনের দিকে ইশারা করা হলে তাঁকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কিয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হব। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাঁদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাঁদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাঁদের (জানাজার) নামাজও আদায় করা হয়নি। বুখারি, হাদিস: ১৩৪৩ হাদিসের মান: সহিহ

৭.কোরআন যারা পড়ে তাঁরা আল্লাহর পরিবারের লোক, কাছের মানুষ। হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ إِنَّ لِلَّهِ أَهْلِينَ مِنَ النَّاسِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هُمْ قَالَ ‏"‏ هُمْ أَهْلُ الْقُرْآنِ أَهْلُ اللَّهِ وَخَاصَّتُهُ ‏"‏ ‏.‏
অর্থ: আনাস ইবন মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিবার-পরিজন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তাঁরা কারা? তিনি বললেন কোরআন তিলাওয়াতকারীরাই আল্লাহর পরিবার-পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।
ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৫ হাদিসের মান: সহিহ

৮. কোরআন তেলাওয়াত কারীকে (হাফেজে কোরআনকে) সম্মান করা আল্লাহ তা'আলাকে সম্মান করার নামান্তর। হাদিসে এসেছে
عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ إِجْلاَلِ اللَّهِ إِكْرَامَ ذِي الشَّيْبَةِ الْمُسْلِمِ وَحَامِلِ الْقُرْآنِ غَيْرِ الْغَالِي فِيهِ وَالْجَافِي عَنْهُ وَإِكْرَامَ ذِي السُّلْطَانِ الْمُقْسِطِ " .
অর্থ: আবু মূসা আশআরী রা.থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, (৩ব্যক্তি) ক.বয়স্ক মুসলমান, খ.কোরআনের হাফিজ যে এর অর্থের মধ্যে কোনরূপ কমবেশী করে না এবং গ. ন্যায়-পরায়ণ বাদশার সম্মান করা, মহান আল্লাহকে সম্মান করার ন্যায়। আবু দাউদ, হাদীস : ৪৮৪৩ হাদিসের মান: হাসান

৯. কোরআন তেলাওয়াত কারীকে (হাফেজে কুরআনকে) কোরআনের আয়াতের সংখ্যার সমপরিমাণ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ দেওয়া হবে। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا " .
অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন কিয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাক এবং উপরে চড়তে (উঠতে) থাক। তুমি তাকে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে থাক, যেরূপ তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) ঐটিই, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে। আবু দাউদ, হাদীস : ১৪৬৪ হাদিসের মান: হাসান

১০. কোরআন এমন সুপারিশ কারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াত কারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে
عَنْ زُبَيْدٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «الْقُرْآنُ شَافِعٌ مُشَفَّعٌ، وَمَاحِلٌ مُصَدَّقٌ، فَمَنْ جَعَلَهُ أمَامَهُ قَادَهُ إِلَى الْجَنَّةِ، وَمَنْ جَعَلَهُ خَلْفَ ظَهْرِهِ قَادَهُ إِلَى النَّارِ»
অর্থ: জুবায়েদ রহ. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন কোরআন এমন সুপারিশ কারী যার সুপারিশ (তেলাওয়াত কারীর পক্ষে) কবুল করা হবে। এমন বিতর্ক কারী যার বিতর্ক (তেলাওয়াত কারীর পক্ষে) গ্ৰহণ করা হবে। অতএব যে কোরআনকে সামনে রাখবে (তেলাওয়াত করবে ও তদানুযায়ী আমল করবে) কোরআন তাঁকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে পিছনে রাখবে (তেলাওয়াত করবেনা ও তদানুযায়ী আমল করবে না ) কোরআন তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১২৪

লেখক: ফাজেল, জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়া মোহাম্মদপুর, ঢাকা; শিক্ষার্থী, বিন্নূরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, করাচি, পাকিস্তান।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ