শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

কানায় কানায় পূর্ণ রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আর এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা শুরু হবে। এদিকে জনসভা শুরুর তিন ঘণ্টা আগে বেলা সাড়ে ১০টার মধ্যেই নেতাকর্মীদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ। এ সময়ের পর জনসভার দিকে আসা নেতাকর্মীরা আর মাঠের ভেতরে ঢুকতে পারেননি বলে জানা গেছে। তাই নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের জনস্রোত ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতে।

এর আগে সকাল থেকে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে রয়েছে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। দুপুর ১২টার মধ্যে রাজশাহী পরিণত হয় মিছিলেন নগরীতে।

মাদ্রাসা মাঠ ও চারপাশের এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। সাড়ে ১০টার মধ্যে সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় নেতাকর্মীরা পাশের ঐতিহাসিক শাহ মখদুম (রহ.) ঈদগাহ মাঠে জড়ো হন। বেলা ১১টার মধ্যে ঈদগাহ মাঠও কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে জনসভাস্থলে আসা জনতার ঢল মাদ্রাসা মাঠ ও ঈদগাহ ময়দান ছাপিয়ে আশপাশের সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ঘোষপাড়া মোড়, সিঅ্যান্ডবি মোড়, লক্ষ্মীপুর মোড়সহ আশপাশের সড়কে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সমর্থক আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে নাটোর থেকে ১০ হাজার নেতাকর্মী রাজশাহীর ঐতিহাসিক জনসভায় এসেছেন। আমরা পৌঁছে দেখি মাদ্রাসা মাঠ ও ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ। তাই বাধ্য হয়ে ঈদগাহ মাঠের রাস্তায় ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূল্যবান ভাষণ শোনার জন্য অপেক্ষা করছি।’

এদিকে সকালেই রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশ করেছেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলাসহ বিভাগের অন্যান্য জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা মাদ্রাসা মাঠ ও আশপাশের এলাকার ছুটছেন। এলাকা ভেদে বিভিন্ন রঙের শার্ট, টি-শার্ট ও টুপি পরে নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে তারা জনসভাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন।

আর নেতাকর্মীদের একের পর এক স্লোগানে মাদ্রাসা মাঠের আশপাশের এলাকা মুখর হয়ে উঠেছে। জনসভাস্থল ছাড়াও রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি সড়ক লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, ‘আমরা প্রচারে বলেছিলাম, রাজশাহীর এ জনসভা হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। দুপুর না গড়াতেই উপস্থিত জনতা সারা দেশের মানুষকে তা জানান দিয়েছে। এরই মধ্যে পুরো রাজশাহী নগরী জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেত্রী। তার কোনোকিছু চাওয়ার নেই। একটাই চাওয়া—জনগণের উন্নয়ন এবং তিনি তা করে দেখিয়েছেন। তাই রাজশাহীবাসী তাকে ভালোবেসে বিশাল জনসমুদ্র তৈরি করে তাকে ‘সারপ্রাইজ’ দিতে এসেছে।’

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নেতাকর্মীদের ভিড়ে মাঠে তিল ধারণে ঠাঁই নেই। পাশের ঈদগাহ মাঠেও একই অবস্থা। আশা করছি, বিকেল ৩টা নাগাদ পুরো রাজশাহী মহানগরীতে তিল ধারণের জায়গা থাকবে না। বিভাগের আট জেলা থেকে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এতে যোগ দেবেন। সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে জনসভাস্থলে গণসংগীত শুরু হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে জনসভা। স্থানীয় নেতারা ভাষণ দিচ্ছেন। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উঠেছেন।’

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ