শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বিশ্ব ইজতেমা দিলের খোরাক যোগায়: মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:।। তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা দীলের খোরাক জোগায়। সাধারণ মানুষ দীনের আলো খোঁজে পায়। আল্লাহ ভোলা মানুষ আল্লাহকে চিনতে পারে। ইলায়ে কালিমাতুল্লাহর কুদরত জানতে পারে। কুরআন-হাদীসের বাণী শিখতে পারে। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মাসআলা-মাসায়েল জানতে পারে। দীনের প্রাথমিক আহকাম-বিধিবিধান, ও প্রয়োজনীয় সুরা-কেরাত সহী-শুদ্ধভাবে আয়ত্বে আনতে পারে। সর্বোপরি তাবলিগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ দীনদার ও মুত্তাকি হওয়ার পথ খোঁজে পায়।

গত দুই বছর পর বিশ্বব্যাপী পরিচিত তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা বন্ধ ছিলো। করোনার ফলে সাধারণ মানুষের দীলের খোরাক জোগানো এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু আল্লাহর ফজল ও করমে এ বছর পুনরায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই মোমিন হৃদয়ে আনন্দের হিল্লোল বাজছে। লাখে লাখে মানুষ বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিচ্ছে।

বিশ্ব ইজতেমায় উলামায়ে কেরাম দীনের কথা। মানুষকে দীনের পথে চলতে শেখান। ইজতেমায় কোরআন-হাদিসের কথা শোনানো হয়। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথে কিভাবে চলতে হবে তা হাতে কলমে শিখিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই না; ইজতেমায় শিখানো হয়, কিভাবে দীনকে সারাবিশ্বে জিন্দা করা যাবে? দীনের মেহনতকে কিভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া যাবে? এজন্য ইজতেমা শেষে এক চিল্লা, তিন চিল্লা, কিংবা সালের জন্য জামাত বের হয়। আল্লাহপ্রেমী মানুষেরা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। জামাত নিয়ে দেশ-বিদেশের মাটিতে, বিশ্বের আনাচে-কানাচে বেরিয়ে যান তারা।

সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম দীনকে তাদের জীবনের সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিতেন। নিজেদের জীবনের চেয়েও বেশি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসতেন। রাসূলের অনুসৃত পথকে আঁকড়ে ধরতেন। তারা দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে নিজ মাতৃভূমি থেকে হিজরত করেছেন। বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছেন। যার বদৌলতে আজ আমরা দীনের শীতল ছায়া উপভোগ করতে পারছি।

হযরত ইলিয়াস রহমাতুল্লাহি আলাইহির একাগ্র মেহনত ও কায়মনোবাক্যে আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়ার বদৌলতে আল্লাহ তা'আলা এই দীনকে, দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতকে বিশ্বব্যাপী চালু করে দিয়েছেন। পৃথিবীর যেখানেই সূর্য উঠে, সেখানেই দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে গেছে আলহামদুলিল্লাহ। দাওয়াত ও তাবলিগের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ দ্বীনের পথে এসেছে। দাওয়াত ও তাবলিগের উসিলায় এখনো এই মেহনত বিশ্বব্যাপী চলছে। কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা এই মেহনত জারী রাখেন সে জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করি।

তাবলিগের এ মেহনতের জন্য সবার আগে জরুরি ইখলাস ও লিল্লাহিয়াত। কেননা ইখলাস ছাড়া পৃথিবীর কোন কাজে সফলতা লাভ করা যায় না। তাবলিগের কাজেতো নয়ই। সুতরাং একজন তাবলিগী মেহনতকারী বা দাঈ ইলাল্লাহর জন্য ইখলাস সবার আগে জরুরি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ