শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

শীতে শিশুকে যেসব খাবার খাওয়াবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শীতকালে শিশুদের অসুখ বেশি হয়। ঠাণ্ডার সময়ে সর্দি, জ্বর, কাশি ও গলাব্যথা খুব সাধারণ অসুখ। শীতে শিশুদের এনার্জির দরকার হয় বেশি। যা শরীরকে ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়ার শক্তি দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ সময় শিশুর শরীরিক যত্নের পাশাপাশি খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে।

জেনে নিন শীতে যেসব খাবার শিশুকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে:

গাজর: গাজরে থাকে বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদান শীতের সময়ে আমাদের রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শ্বেত রক্তকণিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্ষা করে ভাইরাল সংক্রমণ থেকে। এছাড়া গাজর হলো উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি শিশুর পাচনতন্ত্র নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

খেজুর: খেজুর শুধু শীতে নয়, সারা বছরই শিশুকে এই ফল খেতে দিন। খেজুরে থাকে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম যা বাড়ন্ত বয়সে খুবই জরুরি। এসব উপাদান শীতে শিশুকে উষ্ণ থাকতে সাহায্য করে। শিশু যদি শুধু খেজুর খেতে না চায় তবে স্মুদি, মিল্কশেক, দুধ কিংবা ডেজার্টে মিশিয়েও খেতে দিতে পারেন। এই ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ বৈশিষ্ট্য শিশুর বিপাকক্ষমতাকে উন্নত করে।

রসুন: শীতে শিশুর খাবারের তালিকায় যোগ করুন রসুন। উপকারী এই ভেষজ অ্যালিসিন সমৃদ্ধ। অ্যালিসিন হলো এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই রসুন খেলে শিশুর সর্দি-কাশি ও জ্বর তো দূর হয়ই, সেইসঙ্গে বিভিন্ন অসুস্থতাও দূরে থাকে। শীতের সময়টাতে শিশুর খাবারের তালিকায় রসুন রাখতে চেষ্টা করুন। বিভিন্ন ধরনের স্যুপ ও ডাল রান্নায় রসুনের ব্যবহার করা যেতে পারে।

মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু শিশুর পছন্দের একটি খাবার। এতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম। এসব উপাদান শীতের শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। শীতের সময়ে শিশুর খাবারের তালিকায় মিষ্টি আলু এবং মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি নানা পদ রাখতে পারেন।

সাইট্রাস ফল: শীতের সময়ে সাইট্রাস বা টক জাতীয় ফল বেশি পাওয়া যায়। এসময় কমলা, মাল্টা ইত্যাদি শিশুকে খেতে দিন। এই ফলগুলোতে আছে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে। সেইসঙ্গে সুস্থ রাখে শরীরও।

সবুজ শাকসবজি: শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তার খাবারের তালিকায় সুবজ শাক-সবজি রাখতে হবে। সুবজ শাক-সবজিতে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফোলেট, ফাইবার এবং লুটেইন। এসব উপাদান শিশুর পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে। সেইসঙ্গে প্রতিরোধ করে কোষ্ঠকাঠিন্য। শীতের মৌসুমে শিশুকে পর্যাপ্ত সবুজ শাক-সবজি খেতে দিন।

ডিম: শিশুর প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখবেন। কারণ এটি তাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণে কাজ করে। ডিমে আরও আছে ভিটামিন ও খনিজ। এই দুই উপাদান শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে কাজ করে। তাই শীতে শিশুর খাবারের তালিকায় ডিম যোগ করুন।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ