বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংষ্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: মুফতী ফয়জুল করীম আজারবাইজান থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পাসের ভর্তি কার্যক্রম শুরু ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করা বিস্ময় শিশু হাবিবুরকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা কাল বাংলাদেশে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, জেনে নিন সফরসূচি আলেমদের রাজনীতি আল্লাহর নবীদের রাষ্ট্রীয় উত্তরাধিকার: মাওলানা ফজলুর রহমান হেফাজতে ইসলাম পিরোজপুর জেলা শাখা কমিটি গঠিত বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত: ড. ইউনূস সাতকাছেমিয়া মাদরাসায় তিন দিনব্যাপী সম্মেলন আগামীকাল থেকে শুরু

মিয়ানমার ৭০১২ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের জান্তা সরকার স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৭ হাজার ১২ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তি পাওয়া এই বন্দিদের মধ্যে আছেন ক্ষমতাচ্যুত সু চি সরকারের মন্ত্রী, লেখকসহ ছাত্রনেতা, আন্দোলনকর্মী এবং সাংবাদিকও। বন্দিদের আত্মীয়স্বজন ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এমআরটিভি বুধবার (৪ জানুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে। খবর সিএনএনের।

সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বন্দিদের বিভিন্ন কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর লেখক এবং সু চির এনএলডি পার্টির কর্মকর্তা হতিন লিন ফোনে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন আমি জেল থেকে বাসায় ফিরেছি। কিন্তু আমি এখনও মুক্ত নই। বাড়িতেও যদি ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়, তাহলে তো এটি প্রকৃত মুক্তি নয়।’

সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল লেখক এবং সু চির এনএলডি পার্টির কর্মকর্তা হতিন লিনকে। উসকানি দেয়ার অভিযোগে সামরিক আদালত তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।

সংবাদমাধ্যমের পক্ষে বন্দিমুক্তি বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জান্তা সরকারের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি। তা ছাড়া সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে সু চি কিংবা সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট থাকারও কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে জান্তা সরকার। সে সময় সু চিসহ তার সরকারের অন্য কর্মকর্তাদের আটক করা হয়। তারা এখন দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এর পর থেকেই দেশটিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এর আগে গেল ১৭ নভেম্বর জান্তা সরকার মিয়ানমারের জাতীয় দিবস উপলক্ষে মোট ৫ হাজার ৭৭৭ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এদের মধ্যে ৬০০ নারীও ছিলেন। এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি সরকারের তিনজন সাবেক মন্ত্রীকেও মুক্তি দেয়া হয় সে সময়। ক্ষমতায় বসার পর থেকে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। বিভিন্ন অভিযোগে দেশি-বিদেশি প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে আটক করে তারা।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গত ডিসেম্বরে ৭৪ বছরের মধ্যে প্রথম মিয়ানমার প্রশ্নে প্রস্তাবনা গ্রহণ করে। এতে মিয়ানমারে সহিংসতা অবসান এবং সব রাজবন্দিকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়। সেনাশাসিত মিয়ানমারের আদালত অং সান সু চি-কে দুর্নীতির পাঁচটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

বর্তমানে সু চি-কে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর একটি কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। এর আগে তাকে অজ্ঞাত একটি স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ