হুসাইন আহমাদ খান ।।
আমরা ওমরাহ করতে গিয়েছিলাম। সাথে আমার ছেলেও ছিলো। সেখানে মসজিদে নববিতে আমার ছেলে আবদুল্লাহ ইমামের পেছনে মুকাব্বিরদের দেখতে পায় যে, তারা ইমামের অনুসরণ করছে। ইমাম ‘আল্লাহু আকবার’ বললে তারাও ‘আল্লাহু আকবার’ বলছে।তো এখান থেকে তারও ইচ্ছা জাগে যে, সে মুকাব্বির হবে। সে বাড়িতে এসে মুকাব্বিরের এ্যাকটিং করতে থাকে।
কোত্থেকে এই আগ্রহ জন্মলো তার মাঝে? সে শুধু দেখেছে আর করতে শুরু করেছে। সে গিয়ে ওই জায়গার বরকত হাসিল করেছে। এতে তার মধ্যে প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে।
সে সময় কেউ যদি তাকে জিজ্ঞেস করতো, বড় হয়ে তুমি কী হবে? উত্তরে সে বলতো, আমি মসজিদে নববির ইমাম হবো। অথচ তার বয়স মাত্র ৩ বছর।
তার মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়ে গেছে। এটা পরিবেশের প্রভাবে হয়েছে। আমাদের বলতে হয়নি।
একইভাবে বাড়ির পরিবেশের প্রভার বাচ্চাদের উপর পড়ে থাকে। আপনি যদি সিনেমা-নাটক দেখেন তাহলে বাচ্চাও দেখবে। আপনি অশ্লীল জিনিস দেখলে সেও তাই দেখবে এবং এটাই শিখবে।
আল্লাহ এসব দেখতে তাকেও নিষেধ করেছেন, আপনাকেও করেছেন। যেটা খারাপ সেটা সকলের জন্যই খারাপ। যেটা বড়রা দেখে সেটা থেকে বাচ্চাদের কেন নিষেধ করেন? আসলে তো বড়রা দেখে আর ছোটরা শুধু তাদের ফলো করে এবং সেভাবেই বেড়ে উঠে।
আমরা কীভাবে চাইতে পারি যে, আমরা শয়তানের মতো চলাফেরা করবো আর আমাদের সন্তানরা ফেরেশতা হবে? এটা তো অসম্ভব!
বাড়ির পরিবেশ ভালো করুন। বরকত আসবে। সন্তানরাও নেক ও ভালো হবে।
-এটি