শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ভয়াবহ খাদ্য সংকটে আফ্রিকা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের দুই কোটির বেশি মানুষদের মাঝে। যার ফলে অন্তত ৭০ লাখ শিশু ভুগছে অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আবহাওয়ার ক্রমাগত পরিবর্তন আর চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসায় সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারছে না দেশগুলো।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর একটি শরণার্থী শিবিরে বসবাস করেন পাঁচ সন্তানের জননী নাদিফা আইস্যাক। তার তিন সন্তানই ভুগছে রক্তশূন্যতা, রিকেটসসহ নানা অপুষ্টিজনিত রোগে। প্রয়োজনীয় ওষুধ তো দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটাতেই হিমশিম অবস্থা পরিবারটির।

সোমালিয়ার এক নাগরিক বলেন, ‘আমরা শুধু বিভিন্ন শিবিরে অস্থায়ী হয়ে বসবাস করি। ঘরে কোনো খাবার নেই যে ওদের খেতে দেব। ওষুধের কথা তো আমরা চিন্তাই করতে পারি না। খরার কারণে গবাদি পশুগুলোও মারা গেছে। চরম দুর্দিন পার করতে হচ্ছে আমাদের।’

শুধু আশ্রয় শিবিরেই নয়, হাসপাতালগুলোতেও অনাহার-অর্ধাহারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অপুষ্টিজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা। একই চিত্র কেনিয়া, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, মালিসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের। এতে মহাদেশটির বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা গেল এক দশকে তিন গুণ বেড়ে সাড়ে তিন কোটিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা।

সম্প্রতি জাতিসংঘের আফ্রিকান অর্থনৈতিক কমিশন জানিয়েছে, গত ৩০ বছরের তুলনায় এ বছর ভয়াবহ খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে।

গবেষকরা বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন আফ্রিকায় খাদ্য সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ। তীব্র খরার কারণে সাহারা বা মরু অঞ্চলে কৃষি পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে কৃষিপণ্য উৎপাদনও। এমনকি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ১৫টিই আফ্রিকার। আফ্রিকার আবহাওয়ার পরিবর্তন ছাড়াও দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ নানা দ্বন্দ্ব ও সংঘাতে পিছিয়ে পড়ছে বিশাল একটি জনগোষ্ঠী।

অন্যদিকে, প্রতিবছর ইউক্রেন থেকে ২৫ মিলিয়ন টন ও রাশিয়া থেকে প্রায় ৩০ মিলিয়ন টন গমসহ খাদ্যপণ্য রফতানি হয়ে থাকে আফ্রিকায়। তবে যুদ্ধের কারণে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলো খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

সোমালিয়ার এক বিশিষ্ট নাগরিক বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অস্থির বিশ্ববাজার। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় দেশে দেশে দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট। বিশেষ করে রাশিয়ার খাদ্যশস্য রফতানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করে। ইউক্রেনসহ রাশিয়ার বিভিন্ন বন্দরে আটকে যায় মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য। যার প্রভাব পড়েছে আফ্রিকার দেশগুলোতেও।

যুদ্ধের শুরুতেই খাদ্য সংকটের সতর্কতা জারি করলেও সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারেনি দেশগুলো। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ধনী দেশগুলোকে ত্রাণ তহবিলে অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছে জাতিসংঘ।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ