আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। এ সময় তারা জ্বালানি নিরাপত্তা, ইউক্রেন পরিস্থিতি, কৃষ্ণ সাগরীয় নৌ করিডর ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। মস্কো ও আঙ্কারার কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান আজ ভ্লাদিমির পুতিনকে টেলিফোন করেছেন। মস্কো স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই নেতা রাশিয়া-তুরস্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রশ্নে তুরস্কের অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি পুতিনকে বলেছেন, ২০১৯ সালে সোচিতে স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী তুরস্কের সিরিয়া সীমান্ত পিকেকে/ওয়াইপিজি সন্ত্রাসীদের থেকে মুক্ত করা জরুরি। এজন্য সীমান্তের অভ্যন্তরে কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা মুক্ত করতে হবে। সিরিয়ায় উত্তরাঞ্চলে পিকেকে/ওয়াইপিজি/পিওয়াইডির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে এবং সেখান থেকে তুরস্ককে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
তুরস্কের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুই নেতা তুরস্ক-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষত জ্বালানি সরবরাহ, কৃষ্ণ সাগরীয় নৌ করিডর, শস্য রপ্তানি, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ ও আঞ্চলিক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট এরদোগানন আশা প্রকাশ করেছেন, ইস্তাম্বুল চুক্তি-সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর যৌথ প্রয়াসে ১৩ লাখ টনের বেশি খাদ্য শস্য বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে খাদ্যাভাবে থাকা মানুষদের কাছে পৌঁছানো যাবে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইস্তাম্বুল চুক্তির আওতায় সৃষ্ট শস্য করিডরকে কাজে লাগিয়ে তুরস্ক ও রাশিয়া শস্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাদ্য এবং ক্রমান্বয়ে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির বিষয়ে কাজ করতে পারে। ইউরোপ ও অন্যত্র জ্বালানি রপ্তানির জন্য তুরস্ক গ্যাস-হাব তৈরি করতে পারে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে কাজ চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
-এটি