শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে ইসলামি আন্দোলন খুলনার স্মারকলিপি প্রদান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মাদ ফরহাদ মোল্লা
খুলনা থেকে>

পাবলিক পরীক্ষায় ধর্ম শিক্ষা পূর্বের ন্যায় বহাল, শিক্ষার সবস্তরে ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিলসহ খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

গতকাল রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষ করে জেলা প্রশাসক অভিমুখে মটরসাইকেল মিছিল নিয়ে রওয়ানা হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন ও জেলা সেক্রেটারী হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ১০ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্রের নিকট প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদান ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ ইমরান হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ দ্বীন ইসলাম, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শায়খূল ইসলাম বিন হাসান, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মাওঃ মাহবুবুল আলম, প্রচার ও দাওয়াহ্ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, গাজী ফেরদাউস সুমন, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মুফতী আমিরুল ইসলাম, মাওঃ শায়খুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব আবু তাহের, মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ্ব সরোয়ার হোসেন বন্দ, আলহাজ্ব শফিউল ইসলাম, আলহাজ্ব জামাল মুন্সী, মোঃ নুরুজ্জামান বাবুল, মাওলানা আব্দুর রাকিব, আলহাজ্ব আকবর আলী পাঠান, মেহেদী হাসান সৈকত, আরিফুর রহমান, ডা: আয়নাল হক, আব্দুস সালাম, মাওলানা মশিউর রহমান, আমজাদ হোসেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, গাজী কামাল হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম, যুগ্ন সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস গাজী, মোঃ আমজাদ হোসেন, মমিনুল ইসলাম নাসিব, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাহদী হাসান মুন্না, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ, মো শোয়াইব আলম, মোঃ সেলিম হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

স্বারকলিপি পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রমে ইসলামবিরোধী ও হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সংযোজন করে ইসলামী শিক্ষা বিনাশ করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। কৌশলে নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস বাস্তবায়নে সরকার মরিয়া হয়ে উঠছে।

তারা বলেন, জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমের প্রাইমারি স্তর থেকে সর্বোচ্চ মাস্টার্স পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আলিয়া মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্রতা বজায় রাখার স্বার্থে দাখিল পর্যায়ে ৫০০ নম্বরের আরবি শিক্ষা পূর্বের ন্যায় বহাল রাখতে হবে। ইসলাম শিক্ষা পাঠ্যবইয়ের নাম ‘মূল্যবোধ ও নৈতিকতা’ কিংবা অন্য কিছু নয়, ‘ইসলাম শিক্ষা’ই রাখতে হবে। অন্যান্য ধর্মশিক্ষার ক্ষেত্রেও স্ব-স্ব ধর্মের নামে থাকতে হবে।

ইসলামী আন্দোলনের দাবিসমূহ হলো- ১. শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নে, অভিজ্ঞ দ্বীনদার আলেমদেরকে সম্পৃক্ত করা। ২. শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও সকল পরীক্ষায় আবশ্যিক করা। ৩. ডারউইনের অপ্রমাণিত, ভ্রান্ত ও বিতর্কিত বিবর্তনবাদ শিক্ষার সকল স্তর থেকে বাদ দেওয়া। ৪. পাঠ্য পুস্তকের সকল বিষয় হতে অনৈসলামিক ও ইসলামী বিশ্বাস বিরোধী বিষয় ও শব্দসমূহ বাদ দেওয়া। ৫. ইসলাম ধর্ম শিক্ষার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে কুরআনুল কারীম শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা।

৬. মাদরাসা শিক্ষার কারিকুলাম, শিক্ষানীতিমালা-২০১০ অনুযায়ী মাদরাসা সংশ্লিষ্ট আলেম, দ্বীনদার শিক্ষকদের দ্বারা পূনমার্জন করা।
৭. নৈতিকতা সমৃদ্ধ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সকল ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা। ৮. বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাস বই হতে বিতর্কিত ও ইসলামী আকিদা বিরোধী প্রবন্ধসমূহ বাদ দেওয়া। ৯. স্কুল ও মাদরাসার সকল পাঠ্যপুস্তক অপ্রয়োজনীয় এবং অশ্লীল চিত্রমুক্ত রাখা। ১০. যেহেতু এদেশের সাধারণ জনগণই এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যয়ভারের সিংহভাগ বহন করেন, সেহেতু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা নয় বরং এ দেশবাসীর ধর্মীয় চেতনার অনুকূল শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ