শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি দৈনন্দিন জীবনে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে: মাওলানা ইউনুছ আহমাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ ক্রমেই সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মাঝে ক্ষোভ বেড়েই চলছে। সরকার জনগণের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও তেল, গ্যাসসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি দৈনন্দিন জীবনে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক দুর্ভোগ, লুটেরা, পাচারকারী, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর, দুর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসন, হত্যা-গুম, নারী-শিশু নির্যাতন এর প্রতিবাদের ভাষা পাচ্ছি না।

মহাসচিব বলেন, মানুষের দুঃখ, দুর্দশার অন্ত নেই। এর মধ্যে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনিসহ সব পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সরকার নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে ফের বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্ষোভ বাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় জনগণকে রাজপথে নেমে আসতে হবে। সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশপ্রেমিক ঈমানদার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, চলমান সঙ্কট থেকে উত্তরণে আগামী দ্বাদশ নির্বাচন জাতীয় সরকারের অধীনে হওয়ার বিকল্প নেই। জনগণের সেন্টিমেন্ট উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে দেশ ক্রমেই ভয়াবহতার দিকে ধাবিত হবে। তিনি বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচন সমূহ ভোট ডাকাতির মহোৎসব করে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে ধ্বংস করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও দেশের রাজনীতি অস্থির হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে রাজপথে মোকাবেলা করা হবে বলে বলা হচ্ছে। যা রাজনীতির শিষ্টারচার পরিপন্থি। এমতাবস্থায় জনগণের মধ্যে উদ্বগ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলার সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের যুগ্ম মহসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফুল আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা শোয়াইব আহমাদ, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, আলহাজ্ব মোঃ হারুন অর রশীদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম আলআমিন, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, এ্যাডভোকেট মোঃ লুৎফর রহমান শেখ, এ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুফ্তী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, বীর মুুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মকবুল হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার শরীফুল ইসলাম তালুকদার, আলহাজ্ব মুহাম্মদ সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।

মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গলাটিপে হত্যা করেছে। প্রশাসনকে নির্জীব আজ্ঞাবহ করে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে বাঁচো-মরো পরিস্থিতিতে ফেলেছে। যা কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য না। এই অবস্থার পরিবর্তনে ক্ষমতাসীনদেরকেই প্রদান ভূমিকা নিতে হবে। আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ করতে হবে। সে জন্য সর্বদলীয় জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ২০২৩ সালে শিক্ষা সিলেবাস এবং মাদরাসা শিক্ষা সিলেবাসে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সংযোজন করে ইসলামী শিক্ষার বারোটা বাজানোর সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। পাবলিক পরীক্ষাসহ শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও ডারউইনের বিবর্তবাদ সকল সিলেবাস থেকে বাদ দেয়ার দাবিতে ৪ ডিসেম্বর সারাদেশে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ