শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

একজন সাদামনের আলেমের বিদায়!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আল আমিন রাহমানী: হাফেজ মাওলানা আব্দুস সালাম রহ. জামিয়া রাহমানিয়ায় দীর্ঘদিন হিফজ বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। আমিও হুজুরের কাছে কিছুদিন (২০১০) পড়েছি। একদম সরল, নিরহঙ্কার ও সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ ছিলেন।

আমরা হিফজ বিভাগ থেকে কিতাব বিভাগে আসার পর, কোনো প্রয়োজনে হিফজখানায় গেলে খুব সমাদর করতেন। সরাসরি ছাত্র হওয়ার পরেও হিফজখানায় গেলে সরলমনে টুপি খুলে বলতেন মাওলানা সাব একটু ফুঁ দিয়ে দেন। লজ্জা লাগতো, তারপরও মুহাব্বত করে বলাতে ফুঁ দিতাম। হুজুর খুশি হতেন। এ ঘটনা অনেকের সাথেই ঘটতো।

হুজুরের দুইটা কথা সবসময় মনে পড়ে। ১। হুজুর বলতেন—টিনের চালের যে স্থানে স্ক্রু লাগানো হয়, ওটা মজবুত থাকে। ঝড় তুফানে কিছু হয় না। আর যেখানে স্ক্রু থাকে না, সেটা দুর্বল থাকে, হালকা বাতাসেও টলে যায়। হুজুরদের শাস্তিগুলোও তেমন। যেই পড়ায় বেতের বারি পড়েছে, ওটা বেশি ইয়াদ থাকে। আর যেখানে পড়ে নাই সেটা দুর্বল হয়। ইয়াদ কম থাকে।

২। হুজুরের গদির সামনে বসা ছাত্রদের লক্ষ্য করে তিনি বলতেন— দেখো তোমাদের আর আমাদের বাহ্যিক উপবেশনস্থলের মাঝে মাত্র একবিঘত দূরত্ব। কিন্তু এ এক বিঘত দূরত্ব অতিক্রম করতে ১২/১৫ বছর লাগে।

হুজুরের একথাগুলো আমাদের ছোটো মনে আনন্দ দিতো। ভালো লাগতো। তাই একযুগ পরে এসেও কথাগুলো সেভাবেই মনে আছে।
কিতাব বিভাগে থাকাবস্থায় যখনই দেখা হতো, হাসি দিয়ে নিজে আগে সালাম দিতেন। খোঁজ খবর নিতেন।

আজিজিয়া হওয়ার পর দিলগনী মসজিদে ইফতা থাকার সুবাদে কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। হুজুরের সাথে একবার দেখা হয়েছে। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কোথায় খেদমতে আছি, কেমন আছি, বিয়ে শাদি করেছি কি না ইত্যাদি খোঁজ খবর নিয়েছেন। কথা শেষে খাবারের দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু তাড়াহুড়া থাকায় দাওয়াত গ্রহণ করতে পারিনি। কোনোদিন কল্পনাতেও আসেনি হুজুর এত দ্রুত চলে যাবেন। রহিমাহুল্লাহু রাহমাতান ওয়াসিয়া।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ