আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হজযাত্রীদের সঙ্গে কোনো এজেন্সি প্রতারণা বা হয়রানি করলে সে এজেন্সির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী দিনগুলোতেও আল্লাহর ঘরের মেহমানদের যারা হয়রানি করবে তাদেরকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থা বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে হজযাত্রীদের নিয়ে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল, দালাল-প্রতারকদের প্রতারণা, হজযাত্রী পরিবহনে চরম বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম সাধারণ ঘটনা ছিল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আমাদের সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে এটিকে বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করি। হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, ই-হেলথ প্রোফাইল তৈরি, ই-টিকিট, হজযাত্রী পরিবহন, মক্কা-মদিনায় আবাসন ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা দেওয়াসহ সবক্ষেত্রে ই-হজ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত করে পবিত্র ইসলামের শান্তিময় মহিমাকে জাগ্রত রাখার জন্য আমরা জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আলেম ওলামাদের সম্পৃক্ত করে প্রত্যেক এলাকায় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে যাতে কারও ছেলে-মেয়ে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত না হয় সেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করে দিচ্ছি। ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও গবেষণা কেন্দ্র থাকবে। ইসলাম ধর্মের মূল কথা মানুষ যেন ভালোভাবে জানতে পারে।’
‘আমরা আশা করি, আমাদের দেশ থেকে যারা হজে যাবেন তারা যেন সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে যেতে পারেন এবং হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব বাংলাদেশের যে ভূয়সী প্রশংসা করেছে সেটা যেন অব্যাহত থাকে। যারাই যাবেন, যে দেশেই যাবেন, সেই দেশের নিয়ম-কানুন, আইন মেনে চলতে হবে। সৌদি আরব যাওয়ার আগে সবাইকে সে দেশের আইন-নিয়ম জানতে হবে এবং সেগুলো মানতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে ৫৬৪টি মসজিদ করে দিয়েছি সেখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে, মানুষ আরও জানতে পারবে। যারা প্রবাসে কাজ নিয়ে যাবেন তাদেরও সেখানে ধারণা দেওয়া যাবে।
-এসআর