আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় কারা জড়িত এবং কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে যৌথ অভিযানের সময় মাদককারবারিদের গুলিতে ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত হন। এ সময় আহত হন র্যাবের এক সদস্য। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিকে তবে স্থানীয়দের দাবি, এ সময় শূন্যরেখায় অবস্থানরত এক রোহিঙ্গা নারীও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে যায় র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের একটি টিম। এ সময় মাদক চোরাচালানকারী মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপ আল ইয়াকিন সদস্যরা অতর্কিত হামলা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা, আহত হন র্যাবের এক সদস্য। ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী দল আল ইয়াকিনের সংশ্লিষ্টতার রয়েছে; আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এরই মধ্যে তদন্তে নেমেছে।
-এএ