শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

পা দিয়ে লিখে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছেন মাদরাসার ছাত্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দুই হাত না থাকার পরও পা দিয়ে লিখে এবারের আলিম পরীক্ষা দিয়েছেন মো. হাবিবুর রহমান (১৯)। পুঁইজোর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী তিনি।

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের কৃষক মো. আ. সামাদের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে হাবিব তৃতীয়।

মাদরাসার অধ্যক্ষ ও আলিম পরীক্ষার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আওয়াবুল্লাহ ইব্রাহিম বলেন, জন্মগতভাবে হাতহীন হাবিবুর আমার তত্ত্বাবধানে এই কেন্দ্রেই জেএসসি এবং দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে ও চলমান আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে। শুনেছি সে অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান।

জানা যায়, মেধাবী হাবিবুর রহমান প্রথমে তার গ্রামের হেমায়েত খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। পরে ২০১৫ সালে পুঁইজোর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে ৪.৬৩ পয়েন্ট নিয়ে জেএসসি পরীক্ষায় পাশ করেন। এরপর ২০১৮ সালে দাখিল পরীক্ষায় ৪.৬১ পয়েন্ট নিয়ে পাশ করেন। এবার একই মাদরাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ নেন।

হাবিবুর রহমানের ভগ্নিপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, হাবিব জন্মগতভাবেই হাতহীন। তার মধ্যে অনেক প্রতিভা এবং আত্মবিশ্বাস রয়েছে। সে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে চায়।

পুঁইজোর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, হাবিব আমার মাদ্রাসার অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্র। সে প্রতিটা ক্লাসেই ভালো করে। আজকে আলিম পরীক্ষা দিতে আসছে। সে আমাদের মাদরাসা এবং দেশের গর্ব। তাকে নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী। তবে তার পরিবার অনেক দরিদ্র। সমাজের বিত্তবান ও সরকারের পক্ষ থেকে তার পাশে এসে দাঁড়ালে হয়তো, সে আরও ভালো কিছু করতে পারবে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ