শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ইমরান মানুষকে বিভ্রান্ত করায় তাকে মারতে চেয়েছি, দাবি হামলাকারীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে আটক হওয়ার পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এক সন্দেহভাজন হামলাকারী। জবানবন্দিতে ওই হামলাকারী দাবি করে, ইমরান খান লোকজনকে বিভ্রান্ত করছিলেন বলে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল সে।

বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে ইমরান খানের ওপর হামলা হয়। এতে তার ডান পায়ে তিন থেকে চারটি গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছে পিটিআই। হামলায় আরও ২ জন আহত হয়েছে, নিহত হয়েছে ১ কর্মী। তবে হাসপাতালে ভর্তি ইমরান খানের অবস্থা স্থিতিশীল।

হামলার পরপরই অস্ত্রসহ এক সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হামলার পর ক্যামেরার সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় ওই হামলাকারী। এতে সে দাবি করে, পাকিস্তানের জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপরাধে ইমরান খানের ওপর এই হামলা চালায় সে।

হামলাকারী মোহাম্মদ নাভিদের ভাষ্যমতে, কারো নির্দেশে না নিজের ইচ্ছায় ইমরান খানের ওপর হামলা করেছি। তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম, কারণ তিনি দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছেন। আমি এসব বন্ধ করতে চেয়েছিলাম। লাহোর থেকে তার কর্মসূচি শুরুর পরই এই পরিকল্পনা করি।

এ বিষয়ে প্রাদেশিক পুলিশের কাছে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহি।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন পাকিস্তানের তেহরিক ই ইনসাফের প্রধান ইমরান খান। এর আগেই ইমরানকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানায় তার দল। এর ভিত্তিতে সরকারবিরোধী কর্মসূচি ভার্চুয়ালি করার পরামর্শও দেয়া হয় ইমরানের দলকে। কিন্তু এরপরও নির্বাচনের দাবিতে ইসলামাবাদমুখী লং মার্চ চালিয়ে আসছিলেন পিটিআই প্রধান।

ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ইমরান খানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরিফ।

পাকিস্তানে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা নতুন নয়। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানে একাধিক রাজনৈতিক নেতা খুন হয়েছেন। ১৯৫১ সালে আততায়ির হাতে নিহত হন দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান।

সেনা অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৯ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয় জুলফিকার আলি ভুট্টোকে।

২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালিপিন্ডির এক নির্বাচনী সমাবেশ শেষে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। বেনজিরকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ