আবদুল্লাহ তামিম।। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইজতেমাটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে। এটা তাবলিগ জামাতের সাথীদের সবচেয়ে বড় জমায়েত। বাংলাদেশের পর তাবলিগের বৃহৎ ইজতেমাটি হয়-পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান শহর লাহোরের রায়বেন্ডে।
পাকিস্তানে তাবলিগের কেন্দ্রীয় মারকাজ রায়বেন্ডে নভেম্বরের ৩ তারিখ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। তিন দিনব্যাপী পাকিস্তান ইজতেমার প্রথম পর্ব। শেষ হবে ৬ নভেম্বর। প্রথম পর্বে অংশ নেবে- করাচি, লাহোর, পেশওয়ার, মুলতান, বেলুচিস্তান ও কোয়েটার মুসল্লিরা।
পাকিস্তান ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এ পর্বে পাঞ্জাব, ফয়সালাবাদ, পশ্চিম করাচি ও ইসমাইল খান প্রদেশের মুসল্লিরা অংশ নেবেন।
ইজতেমা উপলক্ষে প্রায় ১০০ একর জায়গার ওপর বাঁশের খুঁটি দিয়ে প্যান্ডেল প্রস্তুত করা হয়েছে। রায়বেন্ড মারকাজের তত্ত্বাবধানে ইজতেমার সার্বিক কাজ ও প্রস্তুতি চলছে। দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা রায়বেন্ডের মারকাযে এসে জমায়েত হতে শুরু করেছে।
এ ইজতেমাকে সফল করতে রায়বেন্ড মারকাজের ৪১টি বিশেষ জামাত সারাক্ষণ কাজ করে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের ইজতেমায় অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকেও অনেক জামাত অংশগ্রহণ করে। প্রতিবারের মত এবারো প্রায় ৩৮টি জামাত যাওয়ার কথা রয়েছে। অংশ নেবেন অন্য দেশের তাবলিগের সাথীরাও।
রায়উইন্ড মারকাজ। পাকিস্তানের লাহোরের কাছে রায়উইন্ড শহরে আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। পাকিস্তানের তাবলিগ জামাতের একটি কেন্দ্র যাতে একটি মসজিদ এবং মাদ্রাসা রয়েছে। এটি বার্ষিক সমাবেশকে ঘিরে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীসহ বহু লোককে আকর্ষণ করে।
এটি মারকাজ থেকে ৫ কিলোমিটার ইজতেমা গাহে অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের মুসলমানদের বৃহত্তম সমাবেশ। পাকিস্তান এবং বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ মিলিয়নেরও বেশি মুসলমান এই স্থানে আসেন। রায়বেন্ড মারকাজ এর কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে। সূত্র: আসরে হাজির ও ইউকিপিডিয়া
-এটি