আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:বর্তমানে পুরো বিশ্বেই হালাল মার্কেটের আকার বাড়ছে এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তা ১০ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাবার, পর্যটন, বস্ত্র, কসমেটিক্স, ওষুধ ও রাসায়নিকের এই হালাল বাজার ইতোমধ্যেই সাত ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং অন্যান্য কারণে এই হালাল মার্কেটে নেতৃত্ব দিচ্ছে তুরস্ক। গত পাঁচ বছরে হালাল মার্কেটে দেশটি তাদের হিস্যা তিনগুণ বাড়িয়ে ১৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছে। দেশটি এই খাতে তাদের অবদান ৪০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
আসন্ন ৮ম ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট এবং বৃহত্তম 'হালাল অর্গ্যানাইজেশন' ৯ম অর্গ্যানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) হালাল এক্সপো ফেয়ারকে সামনে রেখে বিশেষজ্ঞরা এমন মন্তব্য করেছেন।
ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট কাউন্সিলের চেয়ারপারসন ও ডিসকোভার ইভেন্টসের প্রধান ইউনুস ইতে বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীও হালাল মার্কেট সম্প্রসারণে ভূমিকা পালন করেছে।
কারণ হালাল পণ্যের অন্যতম ভিত্তি হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। করোনার সময় লোকজন স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পণ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। আর এতে করে হালাল সামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে। ফলে এই বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, হালাল মার্কেট দ্রুতগতিতে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের দিকে ছুটছে। অনুমান করা হচ্ছে, ইসলামি অর্থনীতি ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে, খাবার ও পানীয় শিল্প দাঁড়াবে ২ ট্রিলিয়ন ডলারে, হালাল পর্যটন দাঁড়াবে ৪০০ বিলিয়ন ডলারে, কসমেটিক্স শিল্প দাঁড়াবে ২০০ বিলিয়ন ডলারে এবং ফ্যাশন দাঁড়াবে ২৪০ বিলিয়ন ডলারে।
তিনি বলেন, হালাল অর্থনীতি অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববাজারের আকার গড়ে দেবে। আগামী ২৪-২৭ নভেম্বর ইস্তাম্বুল এক্সপো সেন্টারে ৯ম ওআইসি হালাল এক্সপো ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৪০টি দেশের প্রায় ৫০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর চলতি বছরই ৮ম ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ