মুফতি দেলোয়ার হোসাইন।।
ভদ্রলোকের বাহ্যিক বেশভূষা দেখে বুঝার উপায় নেই যে, দ্বীনকে তিনিও ভালোবাসেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় সন্তানকে দিয়েছেন হিফজখানায়।
আবাসিক থাকে। সপ্তাহান্তে সাক্ষাৎ করতে আসেন সন্তানের সাথে। সাক্ষাতের সময় শেষ। বাচ্চাটি চলে যেতে উদ্যত হয়েও আবার ফিরে এলো বাবার কাছে।
একেবারে কাছে এসে বাবাকে বললো- বাবা, আসসালামু ওয়ালাইকুম; আমার জন্য দোয়া করবেন। সন্তানকে রেখে যেতে বাবারও কষ্ট হচ্ছিলো কিন্তু সন্তানের এই আচরণ ও আখলাক দেখে বাবার হৃদয় জুড়িয়ে গেলো যা এই পরিবেশে না রাখলে সন্তানের এমন আখলাক গড়ে তোলা কঠিন বিষয়।
বাচ্চার এই আখলাক দেখে বাবার চোখের কোনে পানি জমে এসেছে কিন্তু এতো মানুষের ভীড়ে বিষয়টি কেমন দেখায় না? তাই চোখের পানি আড়াল করেই সন্তানকে হাসিমুখে বিদায় দিলো। হিফজ এমন একটি মেহনতের জিনিস যা মনে চাইলেই হয়ে যায় না? অঢেল মেহনত, চোখের পানি, সময় ব্যয়, ধৈর্য্য ও চর্চার বিনিময়ে আল্লাহপাক যাকে ইচ্ছা তাকে দান করেন।
এটাকে যারা অপ্রয়োজনীয় ,অহেতুক মনে করেন এবং কুরআনের এই চর্চাকে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখেন তিনি আর যা-ই হউক কুরআনের আশেক নন। বহু বড় বড় মানুষ এখনো আক্ষেপ করেন- ইস্ আমিও যদি হাফেজ হতে পারতাম? আল্লাহপাক আমাদের সন্তানাদিগকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হাফেজ-আলেম হওয়ার তৌফিক দান করুন। যারা কুরআনের শিক্ষাকে অহেতুক, অপ্রয়োজনীয় মনে করে তাদেরকে সহি বুঝ দান করুন।
-এটি