শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার

শিশুদের নাম রাখার সময় যে বিষয়টি খেয়াল রাখা দরকার!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রশ্নঃ Ruqsar Aazmin Falaq Ruqsar = Brilliant Aazmin= A Star Falaq = Dawn (ভোর)
এই ধরনের নাম ইসলাম সমর্থন করে কি না?

উত্তরঃ সন্তান জন্মের পর তার ব্যাপারে মাতা-পিতার কর্তব্যসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি কর্তব্য হলো শিশুর একটি সুন্দর নাম রাখা। এ বিষয়টি সহ মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে ইসলামের সুন্দর দিকনির্দেশনা।

পবিত্র কুরআনে এরশাদ হচ্ছে... اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ وَاَتۡمَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ نِعۡمَتِیۡ وَرَضِیۡتُ لَکُمُ الۡاِسۡلَامَ دِیۡنًا ؕ অর্থাৎ আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের উপর আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে ইসলামকে (চির দিনের জন্য) পছন্দ করে নিলাম। (সুতরাং এ দীনের বিধানাবলী পরিপূর্ণভাবে পালন করো)। সূরা মায়িদাহ, আয়াত নং- ৩।

প্রবাদ আছে.. Islam is the complete code of life অর্থাৎ ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। অতএব নাম রাখার ক্ষেত্রেও রয়েছে ইসলামের সুন্দর Guidance বা দিকনির্দেশনা। হাদিস শরিফে এরশাদ হচ্ছে قَالَ رَسُولِ ‏اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "‏ إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَمُّونَ بِأَنْبِيَائِهِمْ وَالصَّالِحِينَ قَبْلَهُمْ

অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, তারা (আগেকার লোকেরা) তাদের পূর্ববর্তী নবী-সালিহ্‌গণের নামে (বাচ্চাদের) নাম রাখতেন। মুসলিম শরিফ, হাদিস নং- ৫৪৯১ ; তিরমিযি শরিফ, হাদিস নং- ৩১৫৫।

অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে...
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ تَسَمَّوْا بِأَسْمَاءِ الأَنْبِيَاءِ وَأَحَبُّ الأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَصْدَقُهَا حَارِثٌ وَهَمَّامٌ وَأَقْبَحُهَا حَرْبٌ وَمُرَّةُ ‏"‏ ‏.
অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, তোমরা নবী-রাসূলগণের নামে নাম রাখ। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হলো ‘আব্দুল্লাহ ও ‘আব্দুর রহমান। নামের মাঝে হারিস ও হাম্মাম হলো বিশ্বস্ত নাম এবং হারব ও মুররাহ হলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট নাম।

আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং- ৪৯৫০ ; নাসাঈ শরিফ, হাদিস নং- ৩৫৬৫ ; আল-আদাবুল মুফরাদ লিলবুখারি, হাদিস নং- ৮১৪।
অতএব প্রশ্নোল্লিখিত নামগুলো রাখা জায়েজ হওয়া সত্বেও উত্তম হলো, কোন নবী রসূলগণের অথবা আলেম-ওলামা ও নেককার লোকদের নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখা। যেমন- ১.আব্দুল্লাহ । (আল্লাহর বান্দা) ২.আব্দুর রহমান (পরম করুণাময়ের বান্দা) ৩.আসজাদুর রহমান (আসজাদ) । (পরম করুণাময়ের সিজদাকারী) ৪.আহমাদ শাকের । (অধিক প্রশংসাকারী-কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারী) ৫.আহমাদ জামিল। ( অধিক প্রশংসাকারী-পরম সুন্দর) ৬.ইউশা সাঈদ (একজন নবীর নাম-সৌভাগ্যবান) ৭.মুবাশশ্বির আহমাদ। (সুসংবাদ দাতা-অধিক প্রশংসাকারী)
৮.আবু হুরায়রা । ( প্রসিদ্ধ একজন সাহাবীর নাম) ৯.আসআদ হাসান গালিব। (অধিক সৌভাগ্যবান- সুন্দর-বিজয়ী) ১০.আমজাদ হুসাইন। (সবচেয়ে মহিমান্বিত-সুন্দর)।

উত্তর প্রদান

হাফেজ মাওলানা আব্দুল মাজীদ মামুন রাহমানী
ফাযেল, জামিয়া রাহমানিয়া আযিযিয়া, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
মুতাখাচ্ছিছ ফি উলূমিল হাদিস, মারকাযুদ দিরাসা আল-ইসলামিয়া, কাজিপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ