শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম ত্রাওরে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ৩৪ বছর বয়সী ইবরাহিম ত্রাওরে। সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। বুরকিনা ফাসোতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নিজেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন।

ত্রাওরে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার মাধ্যমে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। চিলির বর্তমান প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিককে পেছনে ফেলেছেন ত্রাওরে। বোরিকের বয়স ৩৬ বছর।

গত ১ অক্টোবর বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকারের প্রধান পল হেনরি দামিবাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন ইবরাহিম ত্রাওরে। সে সময় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘দামিবাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সরকার ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং সংবিধান স্থগিত করা হয়েছে।’

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় এ বছরে এটি দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থান। আট মাস আগে এ বছরের জানুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট রচ কাবোরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন পল হেনরি দামিবা। এবার তিনি ক্ষমতাচ্যুত হলেন।

বুর্কিনা ফাসো আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিমভাগে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এটি পূর্বে আপার ভোল্টা (ইংরেজি: Upper Volta) নামে পরিচিত ছিল। ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা অর্জনের আগ পর্যন্ত এটি একটি ফরাসি উপনিবেশ ছিল।

১৯৮৫ সালে দেশটির নাম বদলে রাখা হয় বুর্কিনা ফাসো, যার অর্থ "নৈতিক জাতির দেশ"। এর উত্তরে ও পশ্চিমে মালি, পূর্বে নাইজার, এবং দক্ষিণে বেনিন, টোগো, ঘানা ও কোত দিভোয়ার। ওয়াগাদুগু (ফরাসি Ouagadougou উয়াগাদুগু, মোরে ভাষায় উয়াগ্যড্যগ্য) দেশের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।

বুর্কিনা ফাসো আফ্রিকার সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলির একটি। প্রতি বছর এই দেশের হাজার হাজার লোক পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে, যেমন ঘানা বা আইভরি কোস্টে কাজ খুঁজতে বিশেষ করে মৌসুমী কৃষিকাজের জন্য পাড়ি জমায়।

বুর্কিনা ফাসো পশ্চিম আফ্রিকার মধ্যস্থলে অবস্থিত খরাপ্রবণ তৃণভূমি নিয়ে গঠিত। এই স্থলবেষ্টিত দেশটির উত্তরাংশে সাহারা মরুভূমি এবং দক্ষিণে ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য। বুর্কিনাবে জাতির লোকেরা দেশের প্রধান জনগোষ্ঠী এবং এরা মূলত দেশের ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ ভাগে বাস করে। মাটির মান খারাপ এবং প্রচুর খরা হলেও এরা মূলত কৃষিকাজেই নিজেদের নিয়োজিত রাখে।

বুরকিনা ফাসোর মোসসি জাতির লোকেরা বহু শতাব্দী আগে এখানে যে রাজ্য স্থাপন করেছিল, তা ছিল আফ্রিকার সবচেয়ে প্রাচীন রাজ্যগুলির একটি। ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটিতে বারংবার সামরিক অভ্যুথান বা কু (coup) ঘটে এবং সামরিক শাসন চলে। ১৯৯১ সালে নতুন সংবিধান পাস হবার পর দেশটিতে বর্তমানে গণতন্ত্র বিদ্যমান।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ