শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার

প্রচলিত ভুল: এটি হাদিস নয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মসজিদে বেশি কথা বললে ফিরিশতারা বলে
إذَا أَتَى الرَّجُلُ الْمَسْجِدَ فَأَكْثَرَ مِنْ الْكَلَامِ تَقُولُ لَهُ الْمَلَائِكَةُ: اُسْكُتْ يَا وَلِيّ اللهِ، فَإِنْ زَادَ تَقُولُ: اُسْكُتْ يَا بَغِيضَ اللهِ، فَإِنْ زَادَ تَقُولُ: اُسْكُتْ عَلَيْكَ لَعْنَةُ اللهِ.

কোনো ব্যক্তি যখন মসজিদে এসে বেশি কথা বলে তখন ফিরিশতারা বলে, হে আল্লাহর ওলী! চুপ কর। যদি আরো বেশি কথা বলে তখন বলে, হে আল্লাহর দুশমন! চুপ কর। তার পরও যদি সে ক্ষান্ত না হয় বলে, তোমার উপর আল্লাহর লানত, চুপ কর।

এটি লোকমুখে হাদীস হিসেবে প্রসিদ্ধ; কিন্তু এটি কোনো হাদীস নয়, কোনো হাদীসের ভাষ্যও নয়। নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে তা পাওয়া যায় না।

কোনো কোনো কিতাবে যদিও এটিকে নবীজীর হাদীস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে এটি নবীজীর হাদীস নয়; এর কোনো সনদই খুঁজে পাওয়া যায় না।

শায়েখ মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ আশশাকীরী রাহ. তাঁর কিতাব ‘আসসুনানু ওয়াল মুবতাদিআত’-এ বর্ণনাটি উল্লেখ করে বলেন-

هُوَ حَدِيث مَكْذُوب مَوْضُوع مفترى.

এটি একটি মিথ্যা ও বানোয়াট বর্ণনা। (দ্র. আসসুনানু ওয়াল মুবতাদিআত, পৃ. ৫৩)

আমাদের দেশে এটি আরেকভাবেও প্রসিদ্ধ আছে; যে বিষয়ে ইতিপূর্বে (মার্চ ২০১৪) এ বিভাগেই লেখা হয়েছে। তা হল, প্রথমে ফিরিশতা বলে, ‘আপনি চুপ করুন’, তারপর বলে, ‘তুমি চুপ কর’। তারপর বলে, ‘তুই চুপ কর’। অথচ আরবী ভাষায়, ‘আপনি, তুমি, তুই’-এর ব্যবহার নেই।

আর মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলা যাবে কি যাবে না- এক্ষেত্রে মৌলিক কথা হল, মসজিদ নামায ও আল্লাহ তাআলার যিকিরের জন্যই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মসজিদকে দুনিয়াবী কথাবার্তা ও কাজকর্মের স্থান বানানো অথবা এ উদ্দেশ্যে মসজিদে জমায়েত হওয়া নাজায়েয।

তবে কোনো দ্বীনী কাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার পর প্রসঙ্গক্রমে দুনিয়াবী কোনো বৈধ কথাবার্তা বলা জায়েয। এর বৈধতা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। (দ্র. সহীহ বুখারী ১/৬৩,৬৪, ও ৬৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬৭০; রদ্দুল মুহতার ১/৬৬২)

তবে এক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন উঁচু আওয়াজে না হয় এবং কারো আমলে ব্যাঘাত না ঘটে। এমনকি মসজিদে কুরআন তিলাওয়াতও এমন আওয়াজে করা যাবে না, যে কারণে অন্য মুসল্লির আমলে ব্যাঘাত ঘটে।

আবু সাঈদ খুদরী রা. বর্ণনা বলেন-

اعْتَكَفَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ فِي الْمَسْجِدِ، فَسَمِعَهُمْ يَجْهَرُونَ بِالْقِرَاءَةِ، فَكَشَفَ السِّتْرَ، وَقَالَ: أَلَا إِنّ كُلّكُمْ مُنَاجٍ رَبّهُ، فَلَا يُؤْذِيَنّ بَعْضُكُمْ بَعْضًا، وَلَا يَرْفَعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ فِي الْقِرَاءَةِ، أَوْ قَالَ: فِي الصّلَاةِ.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ইতিকাফের সময় সাহাবীদেরকে (নামাযে অথবা নামাযের বাইরে) উঁচু আওয়াজে তিলাওয়াত করতে শুনলেন। তখন পর্দা সরিয়ে বললেন, প্রত্যেকেই তার রবের সাথে একান্তে কথা বলে; সুতরাং কেউ যেন কাউকে কষ্ট না দেয়- একে অপরের চেয়ে উঁচু আওয়াজে তিলাওয়াত না করে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৩৩২। সূত্র: আল কাউসার

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ