আর কে ওসমান আলী: শাপলা ফুলে ছেয়ে গেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আশুরার বিল। দূর থেকে দেখে মনে হবে লাল ও সাদা চাদরে মোড়ানো জলাশয়। যেন শিল্পীর নিপুন হাতে অংকিত একটি স্থির চিত্র।
বিলের পানিতে প্রকৃতির এই অপরুপ সৌন্দর্য শাপলা ফুলের সমাহার উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত আশুড়ার বিলে ভীড় করছেন প্রকৃতি প্রেমিকরা। প্রশাসন বলছেন আশুরার বিল খণনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। খনন হলে আরও বিপুল আকারে এ ফুলের দেখা মিলবে আশুড়ার বিলে।
ফুলকে ভালবাসে না এমন মানুষ কম। বেশির ভাগ ফুল গাছে শোভা পায়। কিন্তু পানিতে শোভা পায় শাপলা ফুল। খাল-বিলের পানিতে দেখা মিলে এই ফুলের। দিন দিন খাল বিল কমে যাওয়ায় কমে যাচ্ছে এ ফুলের সমাহার। কিন্তু আশুরার বিলে দেখা মিলে বিপুল পরিমান শাপলা ফুলের। শিশির ভেজা রোদমাখা সকালে এই বিলে চোখ পড়লেই মেলে, লাল সাদা রংবেরঙের শাপলার বাহারি রূপ, দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
বিলের যতদূর চোখ যায়, তার পুরোটাজুড়েই এখন লাল সাদা শাপলার সমাহার। প্রকৃতিতে নিজের রূপ বৈচিত্র আকার বিলিয়ে দিচ্ছে বিলে ফুটে থাকা এ জলজ ফুলের রানী জাতীয় ফুল শাপলা। মাঝে মাঝে ফুটে আছে পদ্ম ফুলও। আশুরার বিলের একাংশে একটি শাপলা বিল অপর অংশে একটি পদ্মবিল রয়েছে যেখানে বছরের বেশির ভাগ সময় লাল সাদা শাপলার আর পদ্ম ফুলের সমাহার থাকে। যার সৌন্দর্য যে কোন পর্যটককে মুগ্ধ করে। তাই ফুলের এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আশুড়ার বিলে দুর দুরান্ত থেকে প্রতিদিন আসছেন প্রকৃতি প্রেমিকরা।
আশুরা বিলে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, সকালে বিলে আসলেই দেখা মিলে রং-বেরঙের বাহারী রুপের শাপলা। বিলের যতদূর চোখ যায় ততোদূর এখন লাল-সাদা শাপলার সমাহার কিন্তু বিলের সৌন্দর্য টিকে রাখতে বিলের পরিচর্যা প্রয়োজন।
স্থানীয় সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ এবং আব্দুল কাদের জানান, ফুল হচ্ছে পবিত্র সৌন্দর্যের প্রতীক ।ফুলকে ভালোবাসে না এমন মানুষ কম আছে।বেশির ভাগ ফুল গাছে শোভা পায়। কিন্তু পানিতে শোভা পায় শাপলা ফুল। খালবিলের পানিতে দেখা মিলে এই ফুলের। দিনদিন খালবিল কমে যাওয়ায় কমে যাচ্ছে এ ফুলের সমাহার। কিন্তু আশুরার বিলে দেখা মিলে বিপুল পরিমাণ শাপলা ফুল। ফলে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আশুরার বিলে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন প্রকৃতি প্রেমিকরা।আর এই শাপলার সমাহারকে টিকিয়ে রাখতে অতিশীঘ্রই আশুরা বিলকে সংস্কার করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ সোম বলেন, নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের সুবিশাল শালবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এই বন ঘেঁষে ঐতিহ্যবাহী আশুরার বিলের অবস্থান। বন ও বিলের সহাবস্থান আশুরার বিলকে অনন্যতা দিয়েছে ও চিত্তাকর্ষক করেছে। শাপলা ফুল এ সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করে তুলেছে। সম্প্রতি আশুরার বিলটি খননের পদক্ষেপ গ্রহণ করাহয়েছে। খনন হলে আরো বিপুল আকারে এ ফুলের দেখা মিলবে।
আশুরার বিল নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের শালবন সংলগ্ন গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের ৫৮৮.২২ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এই বিলে নির্মিত শেখ ফজিলাতুন নেছা কাঠের সেতু পর্যটকদের আকর্ষনের কেন্দ্রবৃন্দুতে পরিনত হয়েছে। এ বিলকে পরিপূর্ন একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশাসন থেকে নেয়া হয়েছে মহা পরিকল্পনা।
-এএ