আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে চলমান এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কেন্দ্র সচিব ও দুই সহকারী শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভূরুঙ্গামারী থানা ও ইউএনও কার্যালয়ে রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দীর্ঘ চার ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়ের ইসলাম।
অভিযোগ উঠেছে, ওই বিদ্যালয়ে কেন্দ্র থাকার কারণে কেন্দ্র সচিব ও আটককৃত দুই শিক্ষক প্রশ্নপত্রের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তারা ওই প্রশ্নপত্র গোপনে নিয়ে যান। পরে নিজেদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগের দিন হাতে লিখে সরবরাহ করেন। তবে প্রশ্নপত্র ৫০০ থেকে ২০০ টাকায় যত্রতত্র বিক্রির অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা পাওয়া গেলে মঙ্গলবার রাত ১০টায় ভূরুঙ্গামারীতে আসেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম, সচিব প্রফেসর জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামসহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম। তারা উপজেলা নির্বাহীর কক্ষে রাত ১২টা পর্যন্ত বৈঠক করেন।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ দেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সদস্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালীক চৌধুরী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আগামী উচ্চতর গণিতসহ বিজ্ঞান বিভাগের ৬টি পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেল) মোরশেদুল হাসান জানান, শিক্ষা বোর্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
-এসআর