শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

স্ত্রীর কবরের পাশে ১৬ বছর ধরে কোরআন তিলাওয়াত করছেন স্বামী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট সদর ইউনিয়নের চান্দামারী গ্রামের সাবেক শিক্ষক এটিএম মোস্তফা কামাল (৭৪)। তার স্ত্রী রেখা বেগম মারা গেছেন ১৬ বছর আগে। এই ১৬ বছর স্ত্রীর কবরের পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া-দরুদ ও পত্রিকা পড়ে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

জানা গেছে, স্ত্রীর প্রতি অসীম ভালোবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সাবেক এ শিক্ষক। প্রিয়তমা স্ত্রীর মৃত্যুর পরে তার কবরের পাশেই বেশির ভাগ সময় কাটিয়ে আসছেন।

এটিএম মোস্তফা রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি অবসরে যান। ২০০৬ সালের ১৪ নভেম্বর তার স্ত্রী রেখা বেগম (৪৩) বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রীকে বাড়ির প্রবেশ পথে রাস্তার পাশে সমাহিত করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এটিএম মোস্তফা এবং রেখা বেগমের দাম্পত্য জীবন অত্যন্ত ভালো ছিল। বিয়ের পর একে-অপরকে ছেড়ে কখনো একটি রাতও কাটাননি তারা। রেখা বেগম স্বামীর সেবা-যত্নে কখনো কোনো ত্রুটি করেননি। পাশাপাশি স্বামী হিসেবে স্ত্রীকে ভালোবাসা ও সাংসারিক কাজে সব সময় সহযোগিতা করেছেন মোস্তফা।

এই দম্পতির ঘরে দুই সন্তান রয়েছে। ছেলে রাজীব ফেরদৌস শুভ্র ও কন্যা রুবাইয়া সুলতানা বিবাহিত।

ছেলে শুভ্র বলেন, মায়ের মৃত্যুর ১৬ বছর পার হতে চলছে। বাবা মাকে এক দিনেও জন্যও ভুলতে পারেননি। মনে হয় কয়েক দিন আগে মা মারা গেছেন।

তিনি আরও বলেন, পারিবারিক কাজে বাবা কখনো বাজারে গেলেও দ্রুত কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসেন। ঘুরে-ফিরে আবার মায়ের কবরের কাছে বসেন। রাত জেগে নামাজ এবং কোরআন তেলাওয়াত করে মায়ের জন্য দোয়া করেন।

উপজেলার নওদাবস উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোবাশ্বের আলম লিটন বলেন, স্যার সম্রাট শাজাহানের মতো মৃত স্ত্রীর জন্য তাজমহল নির্মাণ করতে পারেননি। তবে হৃদয়ে স্ত্রীর প্রতি গভীর ভালোবাসার দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

এটিএম মোস্তফা বলেন, স্বামী জীবিত অবস্থায় স্ত্রীর মৃত্যুতে অন্যদের ক্ষেত্রে কেমন হয় জানি না। তবে আমার স্ত্রীর (রেখা বেগম) মৃত্যুর পর প্রতিটি দিন-রাত আমার কাছে অপূর্ণ মনে হয়। তাকে আমি ভুলতে পারি না। তার মৃত্যুর পর আমি প্রতিদিন ফজরের নামাজের আগে ও পরে এবং অন্যান্য সময় মিলে ৯৫ বার কোরআন খতম করেছি। আমি সব সময় আল্লাহর কাছে তার জন্য জান্নাত প্রার্থনা করি।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ