শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মানিক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:  কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে পা দিয়ে লিখে এবারে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মানিক রহমান (১৬)। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দিয়েছে সে।

মানিক উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের মিজানুর রহমান-মরিয়ম দম্পতি ছেলে। সে উপজেলার ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

জানা গেছে, অদম্য মেধাবী শারীরিক প্রতিবন্ধী মানিক রহমানের দুই হাত না থাকায় ছোটবেলা থেকে পা দিয়ে লিখে আসছে। সে পা দিয়ে লিখেই জেএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবারো একইভাবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সে।

মানিক রহমান বলে, আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ রাখেন। আমি লেখাপড়া শেষ করে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।

মানিকের মা মরিয়ম বেগম বলেন, ছেলে জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। লেখাপড়ায় তার খুব আগ্রহ। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করছি তাকে। তার স্বপ্ন লেখাপড়া শেষ করে সে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবে।

তার বাবা মিজানুর রহমান বলেন, দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়। জন্মের পর থেকেই সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোট থেকেই তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস তৈরি করি। রেজাল্ট ভালো করলে নিজেকে গর্ববোধ মনে করি।

ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সুপার মো. মশিউর রহমান বলেন, মানিক রহমান ছাত্র হিসেবে খুবই ভালো। সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। ভালোভাবেই সে পরীক্ষা দিচ্ছে। তার পায়ের লেখা দেখে কারও বোঝার উপায় নেই যে সে প্রতিবন্ধী।

এবার জেলার ৯ উপজেলায় ৫৭ কেন্দ্রে ২৭ হাজার ১৫১ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে মাধ্যমিকে ৩৪ কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৮৩৯ জন, ভোকেশনালে ১১ কেন্দ্রে ২ হাজার ৭৫৭ জন ও মাদরাসায় ১২ কেন্দ্রে ৫ হাজার ৫৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ