শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আল্লামা মাহমুদুল হাসানের আহ্বানে সর্বস্তরের আলেমদের নিয়ে পরামর্শ সভা শুরু মসজিদে শোরগোল নিয়ে রাসূল সা. যেভাবে সতর্ক করেছিলেন ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’

কুরআনের তিলাওয়াতের মাধ্যমে বিশ্বখ্যাত হয়েছেন যিনি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মাহমুদ আলী আল-বান্না মিশরীয় শৈলীতে কুরআন তিলাওয়াত করা একজন বিখ্যাত ক্বারি। সমসময়ের সবচেয়ে বিশিষ্ট ক্বারিদের একজন বলা হতো তাকে। তিনি গ্রামে বেড়ে উঠেছেন এবং সেখান থেকেই বিশ্ব বিখ্যাত হয়েছেন

১৯২৬ সালের ডিসেম্বরে মিশরের একটি গ্রামে একটি শিশুর জন্ম প্রত্যক্ষ করেছিল যে, বহু বছর পরে একই গ্রাম থেকে কুরআন তিলাওয়াতের শব্দ বিশ্বে কুরআন প্রেমীদের কানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তার তিলাওয়াত মিশর ও ইরানের তিলাওয়াতের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এই বিখ্যাত ক্বারি নাম মাহমুদ আলী আল-বান্না (১৯২৬-১৯৮৫), যাকে মোস্তফা ইসমাইল "তার শিক্ষক" বলে ডাকতেন।

মিশরের মেনোফিয়া প্রদেশের শাবরা গ্রামে বড় হয়েছেন মাহমুদ আলী। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।শুবরা গ্রামের আহমদী স্কুলে ৬ বছর বয়সে কুরআন মুখস্থ করা শুরু করেন। প্রতিরাতে ঘুমানোর পূর্বে, আগে যে গুলো আয়াত মুখস্থ করেছেন, সেগুলো তিলাওয়াত করতেন। পরে দিন তার শিক্ষকের নিকট নতুন আয়াত সহ পূর্ববর্তী আয়াতগুলো শিক্ষকের নিকট পেশ করতেন।

মাহমুদ আলী আল-বান্না অত্যন্ত ধার্মিক এবং কুরআনের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন। শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমগ্র জীবন তিনি কুরআনের খেদমতের পথে উৎসর্গ করেছেন।

الشيخ البنا.. صاحب الصوت الملائكي الذي روي تفاصيل جنازته قبل | مصراوى

                       ছবি: মাহমুদ আলী আল-বান্না

এক সাক্ষাৎকারে তার ছেলে আহমেদ বলেছেন, “একদিন আমি আমার বাবাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, তিনি আমাকে বললেন আমাকে কুরআন পড়াতে, যদিও তিনি জানতেন যে আমি কুরআন তিলাওয়াত করতে পারি না, কিন্তু তিনি কুরআন তিলাওয়াত শুনতে চেয়েছিলেন, আমি তার জন্য সূরা ফজরের আয়াত পড়েছিলাম এবং আমি یا ایتها النفس المطمئنه ... আয়াত পর্যন্ত পৌঁছেছি... হঠাৎ আমি দেখলাম আমার বাবা মারা যাচ্ছে, তাই আমি থামলাম, আমার বাবা বললেন আমার ছেলে, থামো না, চালিয়ে যাও। তিনি পরের দিন সকালে ইহকাল ত্যাগ করলেন।

তিনি আরও বলেন: "আমার বাবার মৃত্যুর পর তার এক বন্ধু আমাকে বলেছিল, তুমি কেন তোমার বাবার পথ অব্যাহত রাখছ না। অর্থাৎ কুরআন তিলাওয়াত শুরু করছ না?" আমি ঐ রাতে বাড়ি গেলে আমার মা বললেন, তুমি তোমার বাবার পথ অব্যাহত রাখো। আমি একজন ব্যবসায়ী ছিলাম এবং আমি ভাবিনি যে আমি সত্যিই কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবো। রাতে, যখন আমি ঘুমিয়েছিলাম, আমি স্বপ্নে দেখি যে আমি একটি কূপে পড়েছি এবং সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলাম, আমার বাবা আমার হাত ধরে আমাকে কুয়া থেকে টেনে আনলেন। আমার মা বললেন, আমিও গতরাতে তোমার বাবাকে স্বপ্নে দেখেছি, তিনি আমাকে দুটি শার্ট উপহার দিয়েছেন এবং তার একটি আহমেদকে পরিয়ে দিতে বলেছিলেন, এই স্বপ্ন আমাকে কুরআন তিলাওয়াতের ময়দানে প্রবেশ করায়।

বর্তমানে আহমেদ মাহমুদ আলী আল-বান্না মিশরের অন্যতম একজন ক্বারি।

মাহমুদ আলী আল-বান্নার পরিবারকে ইসলামী বিশ্বে তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কুরআনিক এবং প্রভাবশালী পরিবার হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ