|| মুফতি আতাউল কারীম মাকসুদ ||
মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসির সাথে আমি আর রেজাউল কারীম আবরার শাহরিয়ার কবিরকে ঐতিহাসিক 'টকশো'-তে পরাজিত করার পর ‘ধন্যবাদ’ জানাতে তার ‘দরবারে’ গিয়েছিলাম আমরা দুই সহোদর ভাই৷
আব্বাসি সাহেব সম্পর্কে আমার মনোভাব আগে যেমন ছিলো, এখনো তেমন৷ আব্বাসি সাহেব ইসলামের বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য৷ কিন্তু ‘মাসলাক’ এর প্রশ্নে তিনি প্রত্যাখ্যাত৷
—বলতে পারেন, ইসলাম থেকে কি মাসলাক বড়?
—না ভাই, এইতো আপনি ভুল বুঝেছেন? আপনি 'ইসলাম' আর 'মাসলাক'-কে পরষ্পর বিরোধী মনে করে একটাকে আরেকটার বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দিয়েছেন৷ এটা আপনার 'জাল্লাত'৷ 'মাসলাক' বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন আপনি৷
—তাহলে 'মাসলাক'জিনিসটা কী?
—দীর্ঘ আলোচনাসাপেক্ষ বিষয়৷ সংক্ষেপে বলি৷ 'মাসলাক' হলো সহিহভাবে ইসলাম মেনে চলার রুপরেখা, পদ্ধতি৷ মানে, ইসলামের নামে বিভিন্ন গোমরাহি ও ভ্রান্ত ফেরকার আত্মপ্রকাশ ঘটলে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী সহিহভাবে ঈমান-আকিদা সংরক্ষণ করার নাম 'মাসলাক'৷ এজন্য 'মাসলাক' থেকে উর্ধ্বে উঠার শ্লোগান সহিহ নয়৷ বরং আমি আমার 'মাসলাক' মজবুতির সাথে আঁকড়ে ধরবো, তবে 'ইসলাম' এর বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষায় অন্যকে পাশে নিবো, অন্যকে সহযোগি নিবো৷ তাকে আমাদের অধীনে রাখবো, আমরা তার অধীনে হবো না৷ আমরা তাকে পরিচালনা করবো, তিনি আমাদের নেতা হবেন না৷
আবারো বলছি, তার মানে এই নয়, আমি আমার 'মাসলাক' ছেড়ে দিবো৷ প্রশ্নই আসে না৷ অন্যকে সাথে নিবো ইসলামের বৃহত্তর স্বার্থে৷
এটাই উলামায়ে দেওবন্দের অনন্য বৈশিষ্ট্য৷ তারা ইসলামের স্বার্থে যে কাউকে পাশে টানেন, কিন্তু 'মাসলাক' রক্ষা করে, বিসর্জন দিয়ে নয়৷
কেএল/