শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা

এক তাবলিগ জামাতের আফ্রিকা সফর, ইমান জাগানিয়া কারগুজারি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানী জামাতের জিম্মাদারের আফ্রিকান অমুসলিমদের মাঝে দাওয়াতের কারগুজারি শুনবো তার মুখ থেকে; যা শুনলে আপনার হাজার গুণ বেড়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। চলুন তাহলে তার মুখের বর্ণনা পড়ে আসি-

আফ্রিকার সফরে আমি এক নৌকায় উঠে বিসমিল্লাহি মাজরেহা পড়লাম এক মহিলা আমাকে বললো শাইখ আপনি কী পড়েছেন? আমি আবারও পড়লাম। উনি বললেন, আপনি পড়তে থাকুন আমরাও পড়বো। পড়তে পড়তে আমরা যাচ্ছিলাম। ওই আয়াতের নূরে আলোকিত হয়ে নৌকার ২৭ জন মহিলা ৬ জন পুরুষ ইসলাম কবুল করলো। গন্তব্য পৌঁছে উনারা একেরপর তাদের স্বামীদের হাত ধরে ধরে আনছিলেন আর বলছিলেন একেও ইসলামে দাখিল করো। উক্ত সময়ে ২৭ ঘর মানুষ ইসলাম কবুল করে।

ঐ সফরে রমজান মাসে ইফতারের আগ মুহুর্তে আমরা একটি জনবসতি দেখতে পেলাম। আমির সাহেবের অনুমতি নিয়ে সেখানে গেলাম। জনবসতিতে গিয়ে বললাম, আমরা মুসলমান, আমরা এখানে এক রাত থাকতে চাই তোমাদের ইজাজত আছে কিনা? তারা সম্মতি দিলো খুব আনন্দের সাথে।

আমরা ইফতার করলাম, ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করলাম, রাতে তারাবীহ পড়লাম। এই সময়ে উনারা আমাদের চারপাশে পাহারা দিচ্ছিলো নাংগা তলোয়ার হাতে। আমরা তাদেরকে বললাম, তোমরা রেস্ট নাও। ওরা সাথে সাথেই মানা করে দিলো। সেই শীতের রাতে তারা সারারাত আমাদেরকে তলোয়ার নিয়ে পাহারা দিলো। ফরজ নামাজের পর আমি আমির সাহেবকে বললাম, আমির সাহেব আমরা তো রাতের আলো আধারির খেলায় দেখেছিলাম তাদের। ইশরাক পড়ে বের হলে তাদেরকে দেখতে পারবো! সেই সাথে কিছু কথা বলার মওকাও পাবো।

আমির সাহেব ইজাজত দিলেন। ইশরাক শেষে তাদের থেকে বিদায় নেয়ার সময় তাদের সর্দার বললো, তোমরা কি করলে এতটা সময়। আমি বললাম আল্লাহর ইবাদত। বললো আমরাও তো আল্লাহর ইবাদত করি, তবে আমাদের ইবাদত কিছুটা ভিন্ন। আমি বললাম, আচ্ছা তোমার কাছে কাদের ইবাদত বেশি সুন্দর লেগেছে?

সর্দার বললো, তোমাদেরটা। তখন তাদেরকে কালেমার দাওয়াত দিলাম। ৭০ জন নারী পুরুষ ইসলাম কবুল করেছেন।
সেই রমজানের সফরেই চারজন মহিলা আমাদের রাস্তা আটকালো। আমি সাওয়ারি থেকে নেমে বললাম, বোন কি সমস্যা? আমাদের আটকালে কেন?

সে বললো, চার বছর আগে আপনাদের মত এক গ্রুপ এসেছিলো, তারা আমাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলো। কিন্তু আমরা ইসলাম কবুল করিনাই।

চারবছর যাবত এভাবেই তোমাদের মত গ্রুপের লোকদের অপেক্ষা করছি ইসলাম কবুলের জন্য। আপনাদেরকে আমাদের বসতিতে যেতেই হবে। সেখানে গিয়ে আমরা ইফতার ও অন্যান্য ইবাদত করলাম। সারাদিনে মহিলারা ১৯০ ঘর মানুষকে একত্রিত করলো। আমরা তাদেরকে ইসলামের ছায়াতলের দাওয়াত দিলাম এবং তারা ইসলাম কবুল করলো।

আমার প্রথম সফরে জন ৭০০ জন। ২য় সফরে ১৬০০/১৭০০ জন। ৩য় সফরে ২৭০০ জন। ৪র্থ সফরে ৩৫০০ জন ইসলাম কবুল করেছেন। ভাই আমরা তো বিদেশ সফরের নিয়ত করি না, আফসোস। অথচ ওরা ইসলাম কবুলের জন্য বসে আছে। আমাদের যাওয়ার অপেক্ষায়।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ