শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আল্লামা মাহমুদুল হাসানের আহ্বানে সর্বস্তরের আলেমদের নিয়ে পরামর্শ সভা শুরু মসজিদে শোরগোল নিয়ে রাসূল সা. যেভাবে সতর্ক করেছিলেন ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’

উইঘুর মুস*লিমদের সাথে মানবতা*বিরোধী অপরাধ করেছে চীন: জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জিনজিয়াংয়ের উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর চীন মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।

জাতিসংঘের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনটি বুধবার (৩১ আগস্ট) প্রকাশ করা হয়েছে। চীন জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে পশ্চিমা শক্তি দ্বারা সাজানো একটি প্রহসন বলে অভিহিত করেছে।

৪৫ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন চীনকে অবিলম্বে বৈষম্যমূলক সমস্ত আইন বাতিল করতে বলা হয়েছে। বেইজিংকে স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত সকল ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

উইঘুররা মূলত মুসলিম তুর্কি সম্প্রদায়। যারা চীনের সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠী থেকে ধর্ম, ভাষা এবং সংস্কৃতিতে ভিন্ন। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মত স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার ওপর এখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে যে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক হারে আটকের শিকার হচ্ছে।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলেছেন, তারা জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। যা মানবতাবিরোধী অপরাধ। চীন সংখ্যালঘুদের অধিকারকে দমন করার জন্য তাদের আটক করে রেখেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন উইঘুর বন্দীদের ওপর যৌন নির্যাতন করে থাকে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের জোরপূর্বক চিকিৎসা ও জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বল প্রয়োগ করা হয়।

জাতিসংঘ সুপারিশ করেছে, চীন যেন অবিলম্বে স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত সকলকে মুক্তি দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

যদিও জাতিসংঘ বলেছে, চীন সরকার জিনজিয়াংয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্দী শিবিরে কতজনকে আটক করেছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে তাদের ধারণা ১০ লাখের বেশি মানুষকে আটক করে রাখা হয়েছে।

জিনজিয়াংয়ে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ বেশি উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের বসবাস। এর আগে, বেশ কয়েকটি দেশও জিনজিয়াংয়ে চীনের পদক্ষেপকে গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছে। তবে বেইজিং-তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বার বার অস্বীকার করেছে। সূত্র: বিবিসি

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ