শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


বুল*ডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মাদরাসা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতের বিজেপিশাসিত অসমে একটি মাদরাসা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্কুলের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ ৩৭ জনকে গ্রেফতার করার পর ভারতের আসাম রাজ্যের কর্তৃপক্ষ একটি মাদরাসা গুঁড়িয়ে ফেলেছে। এ নিয়ে সম্প্রতি সেখানে তিনটি বেসরকারি মাদরাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হল।

মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে মারকাজুল মা আরিফ করিয়ানা মাদরাসা ভাঙার কার্যক্রম শুরু হয়। এখানকার ছাত্রদের মাদরাসা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। পরবর্তীতে সেখানে বুলডোজার দিয়ে ভাঙার কাজ শুরু হয়।

প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দাবি-মাদরাসাটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্মিত হয়নি। বলা হচ্ছে, ভূমিকম্পের সিসমিক জোন ৫-এ থাকার কারণে যে কোনও সময় যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য এই মাদরাসাটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করা হয়। এটি অসমের তৃতীয় মাদরাসা, যা অবৈধভাবে নির্মাণের কারণে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর আগে অসমে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় সম্প্রতি দু’টি মাদরাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

গত (সোমবার) হাউলিতে একটি বেসরকারি মাদরাসা ভাঙা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, এনিয়ে দু’টি মাদরাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। তার মতে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো মাদরাসা নয়, সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত মারকাজুল মা আরিফ করিয়ানা মাদরাসার সঙ্গে কোনও অসামাজিক কার্যক্রমের জড়িত থাকার খবর পুলিশ অথবা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়নি।

বুধবার হিন্দি গণমাধ্যম জি নিউজ সূত্রে জানা যায়, মাদরাসাটিতে ২২৪ জন শিশু ছিল। মধ্যরাত পর্যন্ত শিশুদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, এবং পরবর্তীতে এতে বুলডোজার চালানোর কাজ শুরু হয়। বঙ্গাইগাঁও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একটি অধ্যাদেশ জারি করে বলেন, ওই মাদরাসাটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্মিত হয়নি।

এ সম্পর্কে (বুধবার) অসম রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক এবং ‘এআইইউডিএফ’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদির কাশেমি রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘এটা একটা ত্রাস বা সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে আমাদের ধারণা হচ্ছে। যাকে সন্ত্রাসী বলে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। মাদরাসার ঘর তৈরিতে যদি কোনও অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।

মাদরাসার ঘর নির্মাণে লাখ লাখ মানুষের, বিধবা মহিলাদের, ফকিরদের ২ টাকা/৫ টাকা দানের টাকায় তৈরি হয়। জনগণের সম্পদ এভাবে ধ্বংস করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়’ বলেও মন্তব্য করেন অসম রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদির কাসেমি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ