শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মির্জাপুরে মাদরাসা ছাত্রকে নির্যাতনের পর হত্যা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিফাত হোসেন (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণীর এক মাদরাসাছাত্রকে পায়ুপথে বাতাস ও লাঠি ঢুকিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর নির্মমভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

খুনের পাঁচ ঘণ্টা পর পুলিশ রেললাইনের পাশ থেকে সিফাতের লাশ উদ্ধার করেছে। সিফাতের পিতার নাম মো: শহিদুর রহমান। গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামে।

সিফাতের নির্মম খুনের পর পুরো এলাকা স্তব্ধ হয়ে গেছে। পরিবারে চলছে শোকের মাতক। পৈশাচিক এই খুনের ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার সহপাঠী, পরিবার এবং এলাকাবাসী। জানা গেছে, সিফাত মির্জাপুর উপজেলা সদরের আফাজ উদ্দিন সিনিয়র দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র।

সিফাতদের প্রতিবেশী জানায়, গত সোমবার বিকেলে ফুসকা খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে সিফাত ও তার বাল্যবন্ধু নুরুল আমীন মির্জাপুর বাইপাস রেলস্টেশনের পাশে যায়। সন্ধ্যায় নুরুল আমীন বাড়ি ফিরে এলেও সিফাত বাড়ি ফিরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর রাত ১১টার দিকে রেললাইনের ব্রিজের পাশে সিফাতের লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

সিফাতের মা রুনা বেগম ও বাবা শহিদুর রহমান অভিযোগ করেন, গত ১০-১২ দিন আগ সিফাত নদীতে গোসল করতে গেলে তার বাল্যবন্ধু বখাটে হিরনের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।

এই ঘটনায় বখাটে হিরন ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে সিফাতকে বেদম প্রহার করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় গ্রাম্য শালিসে হিরনকে স্থানীয় মাতাব্বররা শাসন করেন।

তাদের ধারণা পূর্বশত্রুতা ও ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ক্ষোভে বখাটে হিরন ও তার সহযোগীরা তার ছেলে সিফাতকে ধরে নিয়ে পায়ুপথে বাতাস ও লাঠি ঢুকিয়ে অমানবিক নির্যাতনের পর নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা সিফাত হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি করেছে সিফাতের সহপাঠী, শিক্ষক এবং এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, মাদরাসাছাত্র সিফাত হত্যার পর তার পিতা বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ