শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


মক্কার ৫ ঐতিহাসিক মসজিদ সংস্কারের উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আফফান: ঐতিহাসিক মসজিদ নবায়ন, সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। বিগত শতাব্দীতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের স্থাপত্য সংরক্ষণ, সংস্কার এবং সংরক্ষণ করতে এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির দ্বিতীয় দফায় মক্কার ৫টি মসজিদ পুনরুদ্ধার করা হবে। খবর এসপিএ’র।

এ প্রকল্পের আওতায় জেদ্দা গভর্নরেট দু’টি মসজিদের সংস্কার কাজ শেষ করবে।

মিনার জুমরা আকাবার কাছে অবস্থিত মসজিদুল বিয়াহ। এটি তৈরি করেছিলেন আব্বাসীয় খলিফা আবু জাফর আল-মানসুর। এ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের আওতায় এটিই প্রথম মসজিদ। সংস্কারের পর মসজিদুল বিয়ার আয়তন থাকবে ৪৫৭ দশমিক ৫৬ বর্গমিটার। এতে ৬৮জন মুসল্লি একত্রে নামাজ পড়তে পারবে।

হারাত আল-শামে অবস্থিত মদজিদুল আবু আনবা। যা ৯০০ বছর আগে নির্মান করা হয়েছিল। সংস্কারের পর এ মসজিদের আয়তন হবে ৩৩৯ দশমিক ৯৮ বর্গমিটার। ৩৬০ জন মুসল্লি একত্রে নামাজ পড়তে পারবে এতে।

জেদ্দার আল-বালাদ এলাকায় অবস্থিত আল-খিদর মসজিদটি ৭০০ বছরেরও বেশি পুরনো। সংস্কারের পর এর আয়তন হবে ৩৫৫ দশমিক ৯ বর্গমিটার। এতে ৩৫৫ জন মুসল্লি একত্রে নামাজ পড়তে পারবে।

আল জুমুম গভর্নরেটের অধীনে ‘মসজিদুল ফাতাহ’র সংস্কার করা হবে। এই মসজিদে মহানবী সা. নামাজ পড়তেন। এই মসজিদটি ১৪১৯ হিজরি মোতাবেক ১৯৯৮ সালে সংস্কার করা হয়। এখন পুনরায় সংস্কারের পর এর আয়তন হবে ৫৫৩ দশমিক ৫০ বর্গমিটার। যেখানে ৩৩৩ জন নামাজ পড়তে পারবেন।

তায়েফ গভর্নরেটের দক্ষিণে থাকিফ সেন্টারের কাছে মসজিদুল জুবিলও সংস্কার করা হবে। এটি ৩০০ বছরের পুরোনো মসজিদ। সংস্কারের পর এর আয়তন হবে ৩১০ বর্গমিটার। মসজিদটিতে ৪৫ জন মুসল্লি একত্রে নামাজ পড়তে পারবে।

উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক মসজিদ সংস্কারের প্রথম ধাপে ১০টি অঞ্চলে ৩০টি ঐতিহাসিক মসজিদ সংস্কার ও মেরামত করা হয়।সৌদি আরবের পর্যটন ও জাতীয় পুরাকীর্তি বিভাগ এবং ইসলামিক বিষয়ক ও নির্দেশনা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে এই কর্মসূচিটি রাজ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ